১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস নতুন রুট পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় চলাচল শুরু হচ্ছে। ২ নভেম্বর একই রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকায় পৌঁছবে। বর্তমানে ট্রেন দুটি ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে চলাচল করছে।
পদ্মা সেতু
পহেলা নভেম্বর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার আগে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-মাওয়া অংশে আরেক দফা পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করেছে।
আগামী ১ নভেম্বর থেকে রুট পরিবর্তন করছে ঢাকা-খুলনা রুটের চিত্রা এক্সপ্রেস ও বেনাপোল-ঢাকা রুটের বেনাপোল এক্সপ্রেস। বাংলাদেশ রেলওয়ে জানিয়েছে, যমুনা নদীতে নির্মিত বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর পরিবর্তে পদ্মা সেতু হয়ে নতুন রুটে যাবে ট্রেন দু'টি। রুট পরিবর্তন করায় পরিবর্তন হচ্ছে ট্রেনের যাত্রাবিরতি স্টেশনের।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা স্টেশনের দূরত্ব ৭৭ কিলোমিটার। এ রেলপথের জন্য ভাড়া নির্ধারণে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। প্রথম প্রস্তাবনায় ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় ভাড়া কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ।
টিকিট কেটে ট্রেনে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম দিন মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ট্রেনে করে প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে ভাঙ্গা রেলস্টেশনে পৌঁছান বাংলা সিনেমার নায়ক ফেরদৌস আহমেদ।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচলের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা ২৪ মিনিটে রেল চলাচল উদ্বোধ করেন তিনি। দুপুর ২টায় তিনি ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে বক্তব্য রাখবেন।
আগামী ১০ অক্টোবরে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর থেকে শুরু হবে যাত্রীসহ ট্রেন চলাচল
উদ্বোধনের পর থেকে এখন পর্যন্ত (এক বছর দুই মাস ২৫ দিন) পদ্মা সেতুর টোল আদায় ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পদ্মা সেতুর সাইট অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
যাত্রীবাহী ট্রেনের পর এবার ৬ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দিল একটি পাথরভর্তি মালবাহী ট্রেন। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে ছুটল ৮০ কিমি বেগে।
কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক প্রথম ট্রেনটি প্রায় ৮ মিনিটে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়েছে। এরপর ফরিদপুরের ভাঙ্গার পথে ছুটছে ট্রেনটি। পদ্মা বহুমুখী সেতুতে রেল চলাচলের স্বপ্নের পূর্ণতা পাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ।