আল্লাহ তাআলা কোরআনের বিভিন্ন জায়গায় বান্দাকে সহজে জান্নাত লাভের পথ নির্দেশ করেছেন।
পরকাল
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন বলবেন, তোমরা মাথা ওঠাও। অতঃপর তারা মাথা ওঠালে তাদের আমল অনুপাতে নূর প্রদান করা হবে।
অসম্মান ও লাঞ্ছনা ইহকালীন জীবনে হোক বা পরকালীন জীবনে হোক তা কারো কাম্য নয়।
ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, হাশরের মাঠে মানুষ নিজের ছোট-বড়, ভালো-মন্দ, প্রকাশ্য-গোপন—সব ধরনের গুনাহ ও নেকি দেখতে পাবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আমলনামা সামনে রাখা হবে।
পরকালের সূচনা হয় মৃত্যুর পর থেকে। এর চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ ঘটবে কিয়ামত বা পুনরুত্থানের দিন। পরকালে বিশ্বাস ঈমানের মৌলিক স্তম্ভের অন্তর্ভুক্ত।
আমাদের নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর পুরো জীবনই উম্মতের মুক্তির পথ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, সম্প্রদায়, দেশ-কাল নির্বিশেষে সবার জন্যই প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুরুষ।
হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন বলবেন, তোমরা মাথা ওঠাও। অতঃপর তারা মাথা ওঠালে তাদের আমল অনুপাতে নূর প্রদান করা হবে।
মানুষ নানা কারণে মানসিকভাবে ভয় ও দুশ্চিন্তায় ভোগে। পবিত্র কোরআনে একাধিকবার মুমিনদের নির্ভয় ও দুশ্চিন্তামুক্তির সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে।
একজন মুমিন মুসলমান হিসেবে যেসব বিষয়ের প্রতি ঈমান আনা অত্যাবশ্যক তার অন্যতম হলো- পরকালের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। পরকালের প্রতি বিশ্বাস একজন মানুষকে সব রকম পাপাচার থেকে বেঁচে থাকতে সহায়তা করে।
আল কোরআনে আল্লাহ রব্বুল আলামিন বলেন, ‘এ পার্থিব জীবন ক্রীড়া কৌতুক ছাড়া কিছুই নয়। নিশ্চয় পরকালের জীবনই প্রকৃত জীবন, যদি তারা জানত।’ সুরা আনকাবুত আয়াত ৬৪।