ন্যাম সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরি করার পাশাপাশি, এই সংকট সমাধানে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যেকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশু ও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রত্যাবাসন
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন সফল না হলে তা এক সময় বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হবে।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের মধ্যস্থতায় আকস্মিকভাবে তৃতীয় দফার একটি উদ্যোগ দৃশ্যত শুরু হয়েছে। এ উদ্যোগ নিয়ে কোন হাকডাক নেই। আলোচনা চলছে অনেকটা নীরবে এবং সংবাদমাধ্যমের আড়ালে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জোরালো ভূমিকা নিতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত নোলিন হেজারকে আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি এখনও অনুকূলে নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে ওআইসি পিইউআইসি’র কার্যকরী ভূমিকা কামনা করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এ দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের একার নয় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি।
আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ডকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি বলেছেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনের বিষয়ে ইরান বাংলাদেশকে সমর্থন করবে।
রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য শরণার্থীদের প্রত্যাবাসন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।