রোহিঙ্গাদের আরও একটি দলকে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছে। চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে নৌবাহিনীর পাঁচটি জাহাজে ভাসানচরের যায় রোহিঙ্গারা।
ভাসানচর
রোহিঙ্গাদের আরও একটি দলকে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালীর ভাসানচরে পাঠানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম বোট ক্লাব থেকে চারটি জাহাজে ভাসানচরের উদ্দেশে যাচ্ছেন রোহিঙ্গারা।
আজ বৃহস্পতিবার ও আগামীকাল শুক্রবার দুই দিন আরো সাড়ে তিন হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে নেয়ার কার্যক্রম চলছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গারা এতদিন ভুল বুঝেছিল যে, এখানে তাদের বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা হবে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে নোয়াখালীর ভাসানচর দ্বীপের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করেছে নৌবাহিনীর ৫ টি জাহাজ। দ্বিতীয় ধাপে চট্টগ্রাম থেকে ১ হাজার ১৩৪ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে আজ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দ্বিতীয় একটি দলকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ১৬৪২ জন রোহিঙ্গাকে কক্সবাজারের শিবির থেকে ভাসানচরে স্থানন্তরিত করা হয়েছে। এর আগে আরও ৩০০ জনের মতো রোহিঙ্গাদের সেখানে আশ্রায় দেওয়া হয়।
ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই বলে জানিয়েছেন জেনেভার জাতিসংঘ দপ্তরে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ভাসানচরে 'জোরপূর্বক' স্থানান্তরিত করা অনুচিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিভেন দুজারিচ।
মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া ১ হাজার ৬৪২ রোহিঙ্গাকে বরণ করেছে ভাসানচর। কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই অবশেষে ভাসানচরে পৌঁছালেন তারা। নৌ এবং সেনাবাহিনীর সাতটি জাহাজে করে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা ভাসানচরে পৌঁছান।