মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দুইদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
মাতৃভাষা
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ইরশাদ করেন, ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর জিকির দ্বারাই অন্তরসমূহ শান্তি পায়।’ (সূরা আর-রাদ, আয়াত : ২৮)।
মনের ভাব প্রকাশ করার জন্য মানুষ যে ধ্বনি ব্যবহার করে তা হলো ভাষা। আর নিজেদের মায়েরা যে ভাষায় কথা বলে তা মাতৃভাষা। মাতৃভাষা ছাড়া মানুষ পরিতৃপ্ত হয়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারে না।
ভাষা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কুদরত। দুনিয়ায় যত নবী-রসুল এসেছেন সবাই মাতৃভাষায় কথা বলতেন। মায়ের ভাষায় তাওহীদের দাওয়াত দিতেন। বিপদগামী মানুষকে আল্লাহর পথে আহ্বান করতেন।
মায়ের সঙ্গে যেমন সন্তানের সম্পর্ক গভীর, মাতৃভাষার সঙ্গে মানুষের সম্পর্কও তেমনি গভীর। সন্তান জন্মের পর যখন কথা বলতে শেখে তখন সে তার মায়ের ভাষাতেই কথা বলে, এটা তার স্বভাবগত ও জন্মগত চাহিদা।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে। ২০১৭ সাল থেকে জাতিসংঘে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের এ আয়োজনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে বাংলাদেশ।
অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অহংকার আর শোকের এই দিনটি পালন করছে জাতি।
বাংলা দুনিয়ার অন্যতম ভাষা এবং অন্য সব ভাষার মতো এ ভাষাও মহান আল্লাহর দান। বাংলা যেহেতু আমাদের মাতৃভাষা সেহেতু এ ভাষার প্রতি আমাদের মমত্ববোধ থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সত্যিকারার্থেই ভাষার অধিকারের জন্য কেউ এত রক্ত দেয়নি। এই ভাষার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হয়েছে। সেই সংগ্রামের হাত ধরেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার-প্রসারে অবদানে স্বীকৃতির জন্য চার ব্যাক্তি-প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হল ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ ।