জুলাই মাসের প্রথম ৭ দিনে ৪৬ কোটি ৫৬ লাখ (৪৬৫ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধরে) যার পরিমাণ ৫ হাজার ৫১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা।
রেমিট্যান্স
ঈদের মাস জুনে চাঙ্গা হয়েছে প্রবাসী আয়। গত মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রায় ২২০ কোটি ডলার সমপরিমাণ অর্থ দেশে পাঠিয়েছেন। যা, গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আজ সংসদকে জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরের গত ১১ মাসে (জুলাই-মে) প্রবাসী বাংলাদেশীরা ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। এটা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১.১ শতাংশ বেশি।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জুন মাসে প্রবাসী আয়ে (রেমিট্যান্স) গতি বেড়েছে। চলতি জুন মাসের প্রথম ৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৫৭ কোটি ৫৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধরে)।
সদ্য বিদায়ী মে মাসে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে প্রায় ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার জন্য ডলারের কম মূল্য এবং হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন ব্যাংকাররা।
সরকারের রেমিট্যান্স আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় বিএনপি’র গাত্রদাহ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১১২ কোটি ৯২ লাখ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১২ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা।
চলতি মাসের প্রথম ১২ দিনে বৈধ চ্যানেলে ৭৭ কোটি ৩৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছে। বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার ৩৫৯ কোটি টাকা। রোববার (১৪ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রবাসীরা ১৬৮ কোটি ৩৪ লাখ মার্কিন ডলার পাঠিয়েছেন। প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে যার পরিমাণ ১৮ হাজার ১৩ কোটি টাকার বেশি।
পবিত্র ঈদুল ফিতরে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বৈধ বা ব্যাংকিং চ্যানেলে ৯৫ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ রেমিট্যান্স হিসেবে দেশে পাঠিয়েছেন। দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১০৭ টাকা ধরে) যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।