রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ওয়ার্কিং কমিটির দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বৈঠক মিয়ানমারের পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে স্থগিত হয়ে গেছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন
মিয়ানমারের পরিবর্তিত পরিস্থিতির মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন রোববার বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে পূর্ব নির্ধারিত আলোচনার মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমার ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আগামী ১৯ জানুয়ারি ঢাকায় বাংলাদেশ, মিয়ানমান ও চীনের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। চীনের উদ্যোগে এ ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহকে রোহিঙ্গা নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের উপর চাপ সৃষ্টির কার্যকর কৌশল অবলম্বনের আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে জানিয়ে মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেছেন, মিয়ানমারে নতুন সরকার গঠনের পর প্রত্যাবাসন বিষয়ে পুনরায় আলোচনা শুরু করার জন্য বাংলাদেশ যোগাযোগ করবে।
মায়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে ফিলিপাইনের জোরালো ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত ভিনসেনটি ভিভনিসিও টি. বেনডিলিও বিদায়ি সাক্ষাতকালে তিনি একথা বলেন।
রোহিঙ্গা, অন্যান্য শরণার্থী ও অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবসনের জন্য মিয়ানমার সরকারকে প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র্র।
মিয়ানমারের পশ্চিম রাখাইন প্রদেশ থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সেদেশে প্রত্যাবাসনের জন্য গ্রিসের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।