তিন দিনের সফরে পাকিস্তানে পা রেখেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। গত ৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের পর পাকিস্তানে এটিই প্রথম কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সফর।
ইরানের
ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যেই এবার প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পাকিস্তান ঘোষণা করেছে যে, ইরানের প্রেসিডেন্ট আগামী সোমবার (২২ এপ্রিল) থেকে তিন দিনের সরকারি সফরে ইসলামাবাদে যাচ্ছেন।
গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার পর ইরানের মনুষ্যবিহীন যান উৎপাদনকে লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েলের যেকোনও ধরনের হামলা মোকাবিলায় ইরানের সামরিক বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে তেহরান। দেশটির বিমানবাহিনী বলেছে, ইসরায়েলের যেকোনও পদক্ষেপ মোকাবিলায় তারা প্রস্তুত রয়েছে।
ইরানের ক্ষেপনাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব দিতে প্রস্তুত হচ্ছে ইসরায়েল। এ হামলার অন্যতম লক্ষ্য হতে পারে ইরানের পারমাণবিক চুল্লি ও পারমাণবিক গবেষণাকেন্দ্রগুলো,
ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে যাবে, এমন ধারণাই স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু বাস্তবে ঘটেছে বিপরীত ঘটনা।
অতিসম্প্রতি ইসরায়েলে যে ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরানের সেনাবাহিনী, সেই হামলা ছিল ‘সংক্ষিপ্ত’ এবং এতে শুধু সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ইরানের সরাসরি হামলার প্রতি পূর্ণ সমর্থন প্রকাশ করেছে মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিদের সশস্ত্র সংগঠন হামাস। এক বিবৃতিতে তারা জানায়, এই হামলা চালানোর পূর্ণ অধিকার ছিল ইরানের।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সরকার ইরানের ড্রোন হামলার খবরে দ্রুত সাড়া দিচ্ছে। জর্ডান, লেবানন ও ইরাক, ড্রোনের উড্ডয়ন পথে অবস্থিত দেশ তিনটি তাদের আকাশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে নিজেদের দূতাবাসে ইসরায়েলি বিমান হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা শুরু করেছে ইরান।