বাংলাদেশে ৭০টি গুমের ঘটনা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। মোট ৮৮টি গুমের বিষয়ে সরকারের কাছে প্রকৃত অবস্থা জানতে চাওয়া হয়েছিল সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
গুম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, গুম হওয়া পরিবারের কান্না আজ সবার হৃদয়ে স্পন্দন সৃষ্টি করলেও সরকার সে কান্নার শব্দ শুনতে পায় না।
আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস আজ। জাতিসংঘ ২০০২ থেকে কাজ শুরু করে ২০০৬ সালের মাঝামাঝি নাগাদ গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদ রচনা করে। ইংরেজিতে এর নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন ফর প্রটেকশন অব অল পারসন্স অ্যাগেইনস্ট এনফোর্সড ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গুম হচ্ছে একদলীয় দুঃশাসনের নমুনা। প্রায় দেড় দশক ধরে ৬০০-এর অধিক মানুষকে গুম করা হয়েছে। বিরোধীদলশূন্য একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখার জন্যই গুমকে অব্যর্থ অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের গুমসংক্রান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের পাঁচ দিনব্যাপী ১২৭তম বৈঠক আজ জেনেভায় শুরু হচ্ছে। বৈঠকে বিভিন্ন দেশের গুম পরিস্থিতির অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। কমিটি আগের বৈঠকে বাংলাদেশে ৭৬ জন গুম হয়েছিলেন বলে প্রতিবেদন সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছিল। বাংলাদেশ সরকার দাবি করেছে যে, গুম হওয়া কয়েকজনের সন্ধান পাওয়া গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা বাহিনী গুমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়। বাংলাদেশে কেউ গুম হয় না। কেউ কেউ নানা কারণে আত্মগোপন করে পরে আবার ফিরে আসেন।