তীব্র গরমে দুর্ভোগ নেমে এসেছে জনজীবনে। গরমে বাড়ছে জ্বর ও ডায়রিয়াসহ নানান রোগ। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
ডায়রিয়া
রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বইছে তাপপ্রবাহ। প্রখর রোদের পাশাপাশি ভ্যাপসা গরমে স্বস্তি মিলেছে না কোথাও। অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় জ্বর, ডায়রিয়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। তবে ঈদের ছুটিতে চিকিৎসক কম থাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। এ সময়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের অধিকাংশই শিশু।
জয়পুরহাটে হঠাৎ ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। প্রতিদিনই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নতুন রোগী। রমজানের শুরু থেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৫৫ রোগী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছিলেন।
সাধারণত শীতকালে বাংলাদেশের অনেক শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়। এ বছরটিও তার ব্যতিক্রম নয়। শীত শুরুর সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের হাসপাতালগুলোয় এখন ডায়রিয়া রোগীদের ভিড়।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে ফের ডায়রিয়ার প্রকৌপে বাহন ত্রিপুরা (৫৫) ও মেলাতি ত্রিপুরা (৫০) নামে আরও দুজন মারা গেছেন।
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দুর্গম লংথিয়ানপাড়ায় ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বাহন ত্রিপুরা (৫৫) ও মেলাতি ত্রিপুরা (৫০) মারা গেছেন। তারা উভয়ে স্বামী-স্ত্রী।
প্রচন্ড গরমের কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এখন ডায়রিয়ার প্রকোপ বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে খাবার পানির সঙ্গে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সকল এলাকায় ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডায়রিয়া থেকে রক্ষা পাচ্ছে না শিশু ও নারীরাও। সময়মতো চিকিৎসা না দিতে পারলে এটি মারাত্মক হতে পারে।
বন্যার পানি নামতে না নামতেই সিলেটে ডায়রিয়া ও চর্মরোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। সিলেটে ডায়রিয়ায় ১১৪ জন ও চর্মরোগে ছয় জন আক্রান্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার জানান, ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের
চলতি বছরে সারাদেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় তিন লাখেরও বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের কাছে মৃত্যুর হিসাব না থাকলেও রাজধানীর মহাখালীতে কলেরা হাসপাতালে মারা গেছেন ২৯ জন।
মাদারীপুরে বেড়েছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৫০ রোগী। যার ৮০ ভাগই শিশু।