এপ্রিল জুড়ে রেকর্ড তাপপ্রবাহের পর দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ঝড় ও বৃষ্টিপাত। মে মাসে এসে কালবৈশাখীর তাণ্ডবও দেখা যাচ্ছে কোথাও কোথাও। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি বজায় থাকবে আরও ৫ দিন। টানা বৃষ্টিতে তাপমাত্রাও অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে এ সময়ে। তবে এরপরই আবার তাপদাহের সম্ভাবনা দেখছে দেশের আবহাওয়া বিভাগ।
তাপদাহ
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃহস্পতিবারের বৃষ্টিতে নেমেছিল স্বস্তি। এরপর দিন ও রাতের তাপমাত্রা এক লাফে চার থেকে ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যায়। এর মধ্যেই সোমবার (৬ মে) থেকে দেশজুড়ে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ বৃষ্টি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছয় দিন ধরে চলতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
ভয়াবহ তাপদাহে পুড়ছে ভারতের বেশিরভাগ এলাকা। এর মধ্যেই নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উত্তপ্ত এপ্রিল মাস পার করেছে দক্ষিণ ভারত। আর উত্তরপূর্ব ভারতে ভেঙেছে ৫১ বছরের রেকর্ড। ভারতীয় আবহাওয়া দফতরের (আইএমডি) পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
তীব্র তাপাদহ থেকে সুরক্ষায় ফরিদপুরের রিকশাচালকদের মাঝে ছাতা, পানি, খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে শহরের রিকশাচালকদের হাতে ছাতাসহ এসব সামগ্রী তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার।
সারাদেশের মতো উত্তরের জেলা পঞ্চগড়েও তীব্র তাপদাহ বিরাজ করছে। জেলায় প্রায় ৮ মাস ধরে কোনো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষিতে মারাত্মক সংকট দেখা দিয়েছে।
তীব্র তাপদাহের কারণে উৎপাদনশীল খাতে প্রতিবছর দুই হাজার ৭০০ কোটি ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ঢাকা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সাল নাগাদ শুধু পোশাক খাতেই ক্ষতি হবে ৬০০ কোটি ডলার। আর এতে চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে পড়বেন প্রায় আড়াই লাখ পোশাককর্মী।
তাপদাহে পুড়ছে দেশ। দিনদিন তাপমাত্রার পারদ ওপরের দিকে উঠছে। প্রখর তাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। গরম ও অস্বস্তিতে হাঁসফাঁস করছে সাধারণ মানুষ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের বিশ্বরোড মোড়ে একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। রোববার দুপুর ২টার দিকে বিদ্যুতের খুঁটিতে আগুনের সূত্রপাত হয়।
সারাদেশের উপর দিয়ে প্রবহমান তীব্র তাপদাহ (হিট ওয়েভ)-এর কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষাসমূহ যথারীতি চলমান থাকবে।
তীব্র দাবদাহে চলতি সপ্তাহের সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ সময়ে কোনো বিভাগের পরীক্ষা থাকলে তা রিশিডিউল করা হবে।