ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ সুলাওয়েসি প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ১৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বন্যা ও ভূমিধসে কয়েক ডজন বাড়ি ঘর ও রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
বন্যা-ভূমিধস
পাপুয়া নিউ গিনির (পিএনজি) পার্বত্য এবং উপকূলীয় অঞ্চলে প্রবল বৃষ্টি এবং আকস্মিক বন্যায় রাস্তা, বাড়িঘর এবং কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রায় টানা ৫ দিন ধরে চলা ব্যাপক বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে এ পর্যন্ত ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৬ জন।
ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ভারী বর্ষণের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সোমবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা এই তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের হিমাচলে ভয়াবহ ভূমিধসের পর বৃষ্টিজনিত বিভিন্ন দুর্ঘটনায় রাজ্যটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৫।। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১০ জন এখনও নিখোঁজ আছেন।হিমাচল প্রদেশে ভূমিধসের ধ্বংসযজ্ঞটি মারাত্মক ছিলো
কোথাও মেঘ ভাঙা বৃষ্টি। কোথাও আকস্মিক বান। কোথাও প্রবল বর্ষণের জেরে ভূমিধস। রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া ‘প্রকৃতির রোষে’ ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ ছুঁয়েছে।
বন্যা ও ভূমিধসে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৮ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে মঙ্গলবার দেশটির সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
চীনে প্রবল বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ৮ জন।
আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানে বন্যা ও ভূমিধসে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩১ জনই আফগানিস্তানের নাগরিক। বাকি ১৩ জন পাকিস্তানের।
ভারী বর্ষণের কারণে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। রবিবার টানেলের নিচে আটকে পড়া আরও পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এতে বন্যা ও ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে। খবর রয়টার্সের।