প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবাসী বাংলাদেশীদের হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠাতে অনুরোধ করেছেন। হুন্ডি হচ্ছে একটি আন্তঃসীমান্ত অর্থ স্থানান্তর পদ্ধতি যা আইনি ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যায়।
রেমিটেন্স
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার সঙ্কটের মধ্যেও সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে বাংলাদেশ এক হাজার আট দশমিক ৬৭ মিলিয়ন (১০০০ মিলিয়ন = ১ বিলিয়ন) মূল্যের রেমিটেন্স এসেছে।
আগামী রোববার পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলমানদের অন্যতম বড় এ উৎসবকে কেন্দ্র করে বেড়েছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, ঈদের আগে ছয় দিনে ৭৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ধারায় ধাক্কা লাগার ইঙ্গিত দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। টানা আট মাস ধারাবাহিকভাবে এ খাতে আয় কমেছে। চলতি বছর এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
রোজায় মানুষের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বেড়ে যায়। তাই পরিবার-পরিজনের বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে অর্থ পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। রমজান মাসকে কেন্দ্র করে সদ্য সমাপ্ত মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১৮৬ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন।
কোভিড-১৯ মহামারীর মধ্যেও প্রবাসী বাংলাদেশীদের বর্ধিত হারে অর্থপ্রেরণ অব্যাহত থাকার ফলে সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ রেকর্ড সর্বোচ্চ ২৪.৭৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক পার করেছে। যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি। এর আগে ৪৫ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে ৩ মে। প্রচুর পরিমাণ রেমিট্যান্স এলেও বৈদেশিক মুদ্রার খরচ তুলনামূলক কম হওয়ায় রিজার্ভ বাড়ছে বলে জানান সংশ্লীষ্টরা। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে মহামারির মধ্যে এমন রিজার্ভ অর্জন সম্ভব হয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, প্রবাসী বাংলাদেশীরা চলতি অর্থবছরের (২১ অর্থবছরের) প্রথম নয় মাসে ১৮,৬০৩.৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন, যা গত অর্থবছরের (২০ অর্থবছরের) একই সময়ের তুলনায় ৩৫ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
রেমিটেন্সের জন্য দুই শতাংশ ক্যাশ ইন্সেন্টিভ প্রদানসহ সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপে বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভে সাম্প্রতিকালের মধ্যে সবোর্চ্চ রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ধারাবাহিকভাবে কমছে রেমিট্যান্স প্রবাহ।