লাঞ্ছিতের ঘটনা তদন্ত: “ইউএনও লাঞ্ছনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র”

লাঞ্ছিতের ঘটনা তদন্ত: “ইউএনও লাঞ্ছনা সরকারকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র”

বৃহস্পতিবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেন।

বেড়া ইউএনও লাঞ্ছিতের ঘটনা তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে আ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সহসভাপতি ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবীর বিন আনোয়ার বলেছেন, পাবনায় বেড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করার ঘটনাটি অত্যন্ত  ন্যাক্কারজনক ও সরকারকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র। 

বৃহস্পতিবার(১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।

ইউএনও লাঞ্ছিতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন উল্লেখ করে সচিব বলেন, পৌর মেয়র আব্দুল বাতেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে, মামলা হয়েছে, আইনের আওতায় আনা হবে তাকে।

কবীর বিন আনোয়ার বলেন, আ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি সহমর্মিতা রয়েছে যারা সরকারী কর্মকর্তা অথচ জনপ্রতিনিধিদের অশোভন আচরণে ভীতসন্ত্রতের মধ্যে আছেন। এসব ব্যাপারে আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে। 

এর আগে কবীর বিন আনোয়ার ইউএনও লাঞ্ছিতের প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ঘটনার বিবরণ শোনেন। এ সময় তার কাছে ঘটনার তথ্য প্রমাণাদিও তুলে দেয়া হয়। পাবনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ, পুলিশ সুপার শেখ রফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম, বেড়া ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গত সোমবার(১২ অক্টোবর) বেড়া উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে মাসিক সভাকালে মেয়র আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে ইউএনও আসিফ আনাম সিদ্দিকীকে লাঞ্ছিত এবং অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালিজ ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ ওঠে। এরই ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ মঙ্গলবার তাকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।

এ ঘটনায় বুধবার রাতে বেড়া থানায় বরখাস্ত মেয়রের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।