১ নভেম্বর থেকে খুলছে জাতীয় যাদুঘর

আগামী ১ নভেম্বর থেকে দর্শনার্থীদের জন্য স্বস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে আবারও খুলে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর। তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জাদুঘরে প্রবেশের টিকিট আগের মতো কাউন্টারে নয়, বরং অনলাইন থেকে সংগ্রহ করতে হবে। তবে টিকিটের দাম একই থাকবে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে জাদুঘরের পরিচালক জেনারেল খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত সংখ্যক দর্শনার্থী প্রবেশের সুযোগ পাবেন। সকালের শিফটে ২০০ জন ও বিকেলের শিফটে ৩০০ জনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।”

যাদুঘর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, আগে প্রতিদিন তিন থেকে চারহাজার মানুষ জাদুঘর পরিদর্শনে যেতেন। তবে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিতে সেটি ৫০০ থেকে ৮০০ এর মধ্যে সীমিত করা হবে। মহামারি করোনাভাইরাসে কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জাদুঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। 

ছয় মাস পর গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে সরকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে সমস্ত যাদুঘর এবং ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো সীমিত আকারে পুনরায় চালু করে। তবে শাহবাগের জাতীয় জাদুঘর ও রাজধানীর পুরান ঢাকার আহসান মঞ্জিল পৃথক ভিন্ন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত হওয়ার কারণে এ দুটি স্থান এখনও বন্ধ রয়েছে। 

অনলাইনে যেভাবে টিকিট কাটতে হবে

অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য (http://nationalmuseumticket.gov.bd/) লিংকে গিয়ে “Buy Ticket” নির্বাচন করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। 

তারপর “Purchase eTicket” অপশনে ক্লিক গিয়ে জাদুঘর ভ্রমণের তারিখ ও টিকিটের সংখ্যা লিখে “Add” বাটকে ক্লিক দিতে হবে। তবে একাধিক টিকিট কাটতে হলে “Add More Ticket” অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর “Make Payment” অপশনে গিয়ে টাকা পরিশোধ করে “Print Ticket” অপশনে ক্লিক করে প্রদত্ত টিকিট প্রিন্ট করে নিতে হবে। জাদুঘর প্রবেশের সময় এই টিকিটটিই প্রদর্শন করতে হবে। 

প্রবেশ ফি

প্রাপ্তবয়স্ক বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য জাদুঘরে প্রবেশ ফি আগের মতোই ২০ টাকা ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ১০ টাকা রাখা হয়েছে। এছাড়া সার্কভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য ৩০০ টাকা এবং অন্য দেশের নাগরিকদের জন্য ৫০০ টাকা প্রবেশ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।   ই-ক্রয়ের সময় প্রতিটি ধরণের টিকিটে 4% অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ প্রয়োগ করা হবে।