৫ বছরে দেশের থানা গুলোতে ২৬ হাজারের বেশি ধর্ষণ মামলা

৫ বছরে দেশের থানা গুলোতে ২৬ হাজারের বেশি ধর্ষণ মামলা

প্রতীকী ছবি

বাংলাদেশের থানাগুলোয় গত পাঁচ বছরে ২৬ হাজার ৬৯৫ ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ২০১৯ সালে।

পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষে বুধবার হাইকোর্টে দাখিল করা একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।  

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলছেন, পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতিবেদনটি আমরা আদালতে জমা দিয়েছি। এখানে আরও কয়েকটি বিষয় ছিল, সেসব বিষয়ে বক্তব্যের জন্য আমরা সময় চেয়েছি।

একটি রিটের শুনানির জন্য এ তথ্য চাওয়া হয়েছিল। ২৩ মে ওই রিটের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এই শুনানি হয়।

পুলিশ মহাপরিদর্শকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের থানাগুলোয় ২৬ হাজার ৬৯৫টি ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে।

আগের বছরগুলোর তুলনায় গত দুই বছরে থানায় ধর্ষণের মামলার সংখ্যা অনেক বেড়েছে। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, ২০১৬ সালে ধর্ষণের মামলা হয়েছে চার হাজার ৩৩১টি। ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে চার হাজার ৬৮৩টি। ২০১৮ সালে চার হাজার ৬৯৫টি।

২০১৯ সালে মামলা হয়েছে ছয় হাজার ৭৬৬টি এবং ২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত মামলা হয়েছে ছয় হাজার ২২০টি। এগুলো শুধু থানায় দায়ের হওয়া মামলা। এর বাইরে ট্রাইব্যুনালেও মামলা দায়ের হয়, কিন্তু সেখান থেকে এখনও প্রতিবেদন আসেনি।

বুধবার রিটের শুনানির সময় ধর্ষণের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যে বিরতিহীনভাবে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কিনা, তা নজরদারি করার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এই কমিটির প্রধান সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্টার জেনারেল মো. আলী আকবর। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন— স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম বা তার প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার নিচে নয়) ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বা তার প্রতিনিধি (অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদা নিচে নয়)।

ধর্ষণের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা, সালিশ বা মীমাংসাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসাবে ঘোষণা এবং এর আগে দেওয়া তিনটি রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে আদালতে একটি রিট করা হয়।

রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত ২১ অক্টোবর ধর্ষণের ঘটনায় মধ্যস্থতা, সালিশ বা মীমাংসা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।

সেই সঙ্গে বাংলাদেশের থানা ও আদালতে ধর্ষণের কতগুলো মামলা হয়েছে, চার মাসের মধ্যে তার বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

সূত্র: বিবিসি