সাইবার অপরাধে নারীরা বেশি ভুক্তভোগী

সাইবার অপরাধে  নারীরা বেশি ভুক্তভোগী

ছবি: প্রতীকী

দেশে ৪ ধরণের সাইবার অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে। অপরদিকে সাইবার অপরাধে আক্রান্তের ঘটনা বিশ্লেষণে দেখা গেছে- এদের মধ্যে বেশিরভাগ ভুক্তভোগীর বয়স ১৮-৩০ বছরের কম। পরিসংখ্যানে ভুক্তভোগীদের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শিশু। ১৮ বছরের কম বয়সী এই ভুক্তভোগীদের হার ১১ দশমিক ১৬ শতাংশ। অন্যদিকে ৩০-৪৫ বছর বয়সী প্রযুক্তি ব্যবহারকারী ভুক্তভোগী ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং ৪৫ বছরের বেশি ভুক্তভোগীদের হার মাত্র ০.৪৭ শতাংশ।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে রোববার এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)। সাইবার সচেতনতা মাস অক্টোবর-২০১৯ উপলক্ষ্যে এই প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন হয়। এতে সহ আয়োজক ছিল নবগঠিত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ফর সিকিউর ডিজিটাল বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন সিসিএ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ।

এ আলোচনায় অংশ নেন দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, থিংক ট্যাংক ফর সিকিউর ডিজিটাল বাংলাদেশের আহ্বায়ক কম্পিউটার প্রকৌশলী সৈয়দ জাহিদ হোসেন, প্রযুক্তিবিদদের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইসাকা ঢাকা চ্যাপ্টারের ডিরেক্টর (মার্কেটিং) মাহবুব উল আলম, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এডিসি মাহমুদা আফরোজ লাকী ও তরুণ সাহিত্য সাংবাদিক শাহরোজা নাহরীন। সঞ্চালক ছিলেন সিসিএ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুন আশরাফী।

কাজী মুস্তাফিজ গবেষণা প্রতিবেদনের পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, বর্তমানে ভার্চুয়াল জগতে বাংলাদেশের প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের মধ্যে ১১ ধাপে অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এর মধ্যে চারটিই নতুন ধারার অপরাধ। ২০১৬-১৭ সালের তালিকাতেও এমন অপরাধের আলামত মেলেনি। তবে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই সাইবার জগতে মাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিচিত্ররূপে হাজির হচ্ছে এই অপরাধ। আমজনতার মধ্যে এই অপরাধে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আক্রান্তদের মধ্যে নারী ভুক্তভোগীদের সংখ্যা বেড়েছে ১৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ। তবে ভুক্তভোগীদের ৮০ দশমিক ৬ শতাংশই আক্রান্ত হওয়ার পরও আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন না।

জরিপে দেখানো হয় গতবারের চেয়ে এবার সাইবার অপরাধে ভুক্তভোগী নারীদের হার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। এবার এই হার ৬৭ দশমিক ৯ শতাংশ। গতবার ছিলো ৫১ দশমিক ১৩ শতাংশ। অপরাধের জেন্ডারভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বেশিরভাগ অপরাধে ভুক্তভোগী নারীর সংখ্যাই বেশি। এরমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের শিকারে সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন তারা। এতে নারীর হার ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং পুরুষ ৬ দশমিক ০৫ শতাংশ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অনলাইনে বার্তা পাঠিয়ে হুমকি। এখানে ৩ দশমিক ৭২ শতাংশ পুরুষ ভুক্তভোগী হলেও নারীর হার ১৪ শতাংশ। অপরাধের ধরণে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ছবি বিকৃতি করে অনলাইনে অপপ্রচারের শিকার হওয়া নারীর হার ১১ দশমিক ২ শতাংশ; পুরুষ ৪ দশমিক ১৯ শতাংশ।