" অর্থের অভাবে আইসিইউতে মৃত্যুপথযাত্রী বশেমুরবিপ্রবির মেধাবী শিক্ষার্থী খায়রুল "

" অর্থের অভাবে আইসিইউতে মৃত্যুপথযাত্রী বশেমুরবিপ্রবির মেধাবী শিক্ষার্থী খায়রুল "

ছবিঃ বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

শেখ ফাহিম বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী খায়রুল আলম সড়ক দুর্ঘটনার কবলে গত ২৩ মার্চ, ২০২০ তারিখে গুরুতর ভাবে আহত হয়। কুমিল্লায় এক সড়ক দূর্ঘটনায় পা এবং মাথায় মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় সে। চিকিৎসার অভাবে নিষ্ঠুরতম পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়েছে খায়রুল এবং তার পরিবারকে। খায়রুলের জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট থাকায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভেবে চিকিৎসা প্রদান করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ রাজধানীর বেশ কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতাল। বর্তমানে মহাখালী ইউনিভার্সাল হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউতে) লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। বর্তমানে তার প্রতি ১২ ঘন্টা অন্তর ৪৫ হাজার টাকা এবং দিনপ্রতি চিকিৎসা ব্যায় প্রায় ৯০ হাজার টাকা। ছোটোবেলা থেকে বাবা-মায়ের স্নেহ দিয়েই আমরা খায়রুলকে বড় করেছি। ডাক্তাররা বলছেন খায়রুলকে সুস্থ করে তুলতে হলে আইসিইউতেই রাখত হবে। কিন্তু আইসিউয়ের ব্যয় আমাদের সামর্থ্যের বাইরে। আমরা খায়রুলকে বাঁচাতে চাই তবে অর্থের অভাব আমাদের হারিয়ে দিচ্ছে”- কান্নাজড়িত কন্ঠে এভাবেই নিজেদের দূরাবস্থার কথা বলছিলেন খায়রুলের ফুফু হাসনা আক্তার। খায়রুলের আর্থিক অনুদানের বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে বশেমুরবিপ্রবির চলতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহজাহান বলেন, “এইমুহুর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আমাদের পক্ষে সহযোগিতা করা সম্ভব হচ্ছে না। মানবতার প্রশ্ন তুললেও তিনি একই উত্তর দেন এবং বলেন ক্যাম্পাস খুললে আমরা খায়রুল কে সাহায্য করব। তবে বাংলা বিভাগের সভাপতি মোঃ আব্দুর রহমান কিছু ব্যক্তিগত সাহায্য প্রদান করেছেন। এছাড়া, খায়রুলের কয়েকজন সহপাঠী সম্মিলিতভাবে খায়রুলের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছে। খায়রুলের ফুফু হাসনা আক্তার জানিয়েছেন ইতোমধ্যে তারা ২০ হাজার টাকা সংগ্রহ করে খায়রুলের চিকিৎসার জন্য প্রদান করেছেন। খাইরুলের এমতাবস্থা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে বাংলা বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান জানান, "করোনার কারনে দেশের এই পরিস্থিতিতে আমরা সরাসরি গিয়ে খাইরুলের পাশে দাঁড়াতে পারছি না, তবুও তার পরিবারের সাথে মুঠোফোনে সবসময় যোগাযোগ করছি। খায়রুলের ফুফা জানিয়েছেন "তার(খায়রুল)অবস্থা এখন কিছুটা ভালো, তার জ্ঞান ফিরলেও কথা বলতে পারছে না তবুও ইশারার মাধ্যমে কথা বোঝাতে চেষ্টা করছে,তাকে রক্ত দেওয়া হচ্ছে, তবে তার হার্টে ও ফুসফুসে এখনো সমস্যা রয়েছে এই জন্য তাকে আরো কিছুদিন আইসিইউ তে থাকতে হতে পারে। খাইরুলের এই বিপদে আমাদের বিভাগের সকল শিক্ষক সহ বশেমুরবিপ্রবির সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাকে তাকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করার চেষ্টা করছে।খায়রুলের এই বিপদের দিনে তার পাশে দাড়াতে আহবান জানিয়েছেন তার সহপাঠীবৃন্দ। খায়রুলকে সহযোগিতা প্রদানের জন্য যোগাযোগঃ আবিদ হাসান (বিকাশ): ০১৯৭৬৬৭২৫১১ হাসান (রকেট): ০১৯১৮৬১৭৭৬৭২ ইমন (নগদ): ০১৭৮৪৪৮৪৮৫৪