তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম স্থগিত

তাবলিগ জামাতের কার্যক্রম স্থগিত

ছবিঃ সংগ্রহীত

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার কারণে দেশে তাবলিগ জামাতের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

শনিবার বাদ জোহর যাত্রাবাড়ীর মদীনা মসজিদে এ সিদ্ধান্ত হয়।

রেরাবার কাকরাইল মাকরাজের শূরা সদস্য মাওলানা রকিবুল ইসলামের বরাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের মেখল মাদ্রাসার শিক্ষক ও তাবলিগের চারিয়া মার্কাজের দায়ী মাওলানা জাকারিয়া নোমান।

কাকরাইল মসজিদের বরাত দিয়ে মাওলানা জাকারিয়া নোমান বলেন, সারা দেশে তাবলিগের ২৭০০টি জামাত মাঠে রয়েছে। এর মধ্যে ২৭৮টি জামাত ইজতেমা থেকে বের হয়েছে। আর এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে ৩৬টি জামাত মাঠে রয়েছে। এক চিল্লার জন্য মাঠে রয়েছে ৬০০টি জামাত। এ সব জামাত দেশের বিভিন্ন জেলায় রয়েছে। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ৩৯৫টি, ভোলায় ২৭০টি, কক্সবাজারে ৮৬টি ও চট্টগ্রামে ১৪০টি জামাত রয়েছে। এ সব জামাতে অংশগ্রহণ করা মুসল্লিদের যার যার বাড়িতে যেতে বলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

মাওলানা জাকারিয়া নোমান বলেন, ‘দেশের এই পরিস্থিতিতে তাবলিগ জামাতের সব কাজ স্থগিত করা হয়েছে, বিশেষ করে মসজিদভিত্তিক দাওয়াতি কাজ। বর্তমান পরিস্থিতিকে সামনে রেখে আলমী শূরার বড়দের থেকে আমাদের কাছে এ হিদায়েত (নির্দেশনা) পৌঁছানো হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজেদের জজবাকে নিয়ন্ত্রণ করে দেশের বিজ্ঞ ফুকাহায়ে কেরাম যা বলেন, সেগুলো অবশ্যই অনুসরণ করতে।’

তিনি বলেন, ‘ওলামায়ে কেরাম বলেছেন, মসজিদে ফরজ নামাজ পড়ে সুন্নত বাসায় গিয়ে পড়তে। সে হিসেবে আমরা আমাদের দেশে সব রকম মসজিদওয়ার আমল বন্ধ রাখব এবং চলতি জামাতগুলোকে বাড়িতে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যারা সময় লাগাতে চান তারা সময় লাগাবেন। কারও বিপরীত কোনো কিছুর চিন্তার করার আমাদের কোনো অবকাশ নেই।’

এ দিকে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজে অংশ নেয়া তাবলিগ জামাতের সদস্য ১২ জন বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পুলিশ। বাংলাদেশি নাগরিকরা দিল্লির তাবলিগ জামাতের সমাবেশে অংশ নেন। পরে সেখান থেকে উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় চিল্লায় বেরিয়েছিলেন তারা। রাজ্যের শামলি জেলার একটি মসজিদ থেকে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে একটি সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে আটক রেখেছে।

এই ১২ জনের মধ্যে অন্তত দু'জন ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাস পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন, বাকিদেরও পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। - যুগান্তর