ধর্ষক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা, মামলা

ধর্ষক শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দিয়ে ছাত্রীর আত্মহত্যা, মামলা

অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল আহমেদ--ওই ছাত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাস।

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এক কলেজছাত্রী শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রবিবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাসেল আহমেদকে একমাত্র আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন ওই ছাত্রীর পিতা মো. শামীম মিয়া ।

এদিকে ওই শিক্ষক ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। রাসেল কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। 

ওই ছাত্রী তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস লিখে শনিবার সকাল ৭টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে শনিবার সকাল ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০শয্যাবিশিস্ট সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

পাকুন্দিয়া থানা সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী ২০১৭ সালে উপজেলার কালিয়াচাপড়া চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তিনি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনিতে পড়ার সময় ওই বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন গণিতের শিক্ষক রাসেল আহমেদের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। প্রাইভেট পড়ার সময় ওই শিক্ষকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি পাওয়ায় এক পর্যায়ে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। গত শুক্রবার (২১আগস্ট) রাসেল গোপনে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। এমন খবর জানতে পেরে গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

আত্মহত্যা করা ওই ছাত্রীর লেখা ৮ লাইনের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস উদ্ধার করে পুলিশ। এতে তিনি লিখেছিলেন, ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে ছাত্রীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করায় আমার প্রিয় শিক্ষক। আর সেই ভাগ্যবান ছাত্রী আমি নিজে। আল্লাহ আমায় মাফ করো।'