শর্ত মেনে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে না বাংলাদেশ : বিসিবি

শর্ত মেনে শ্রীলঙ্কা সফরে যাবে না বাংলাদেশ : বিসিবি

ফাইল ফটো

শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের দেয়া নতুন শর্ত মেনে এই মহুর্তে সেদেশে সফরে যাওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান। সোমবার বিসিবি কার্যালয়ে শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে জরুরীসভা শেষ গণমাধ্যমের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।

তবে কি বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর বাতিল হয়ে গেল? এমন প্রশ্নের উত্তরে নাজমুল হাসান বলেন, বাতিল বলা যাবেন না, আমরা আমাদের সিদ্ধান্তের কথা শ্রীলঙ্কা বোর্ডকে জানিয়ে দিয়েছি। এখন তারা যদি আমাদের দাবি মেনে নেয় তবে অবশ্যই সফর হবে। তবে আপাতত আমরা ঘরোয়া ক্রিকেট শুরু করবো।

দু’দিন আগেও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নীতিগতভাবে সম্মত ছিল যে, তিন ম্যাচ সিরিজের টেস্টের জন্য টাইগাররা দেশটি সফরে গেলে ৭ দিন কোয়ারেন্টিন করলেই চলবে। কিন্তু হুট করেই লঙ্কান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে এক সপ্তাহ কোয়ারেন্টিন করলে হবে না, করতে হবে ১৪ দিন। শুধু তাই না, আগে যেখানে কথা হয়েছিল কোয়ারেন্টিনে থাকা অবস্থায় সফরকারী বাংলাদেশ অনুশীলন করতে পাবে এখন বলছে সেটাও সম্ভব নয়! এদিকে এইচপি জাতীয় দল ও এইচপিসহ সফরে মোট ৬৫ ক্রিকেটারের যাওয়ার কথা থাকলেও এখন বলছে এক সাথে এত সংখ্যক ক্রিকেটার সফর করতে পারবেন না!

কথা ছিল, আসন্ন শ্রীলঙ্কা সিরিজে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে বিসিবি'র হাইপারফরম্যান্স ইউনিটও (এইচপি) সফর করবে। এর প্রধান কারণ দুটি, প্রথমত বিসিবি'র এইচপি ইউনিট ও লঙ্কান এইচপি ইউনিটের মধ্যকার সিরিজ মাঠে গড়ানোর কথা রয়েছে। আর দ্বিতীয়ত করোনা মহামারীর কারণে যেহেতু স্বাগতিকরা প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য কোনো দল দিতে পারছে না তাই বিসিবি হাইপারফরম্যান্স দলের বিপক্ষেই মুমিনুলদের সিরিজের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। কিন্তু হুট করেই আয়োজক দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য নীতিমালার খড়গে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে হাই পারফরম্যান্স দলের সিরিজটি। কেননা তারা বিসিবিকে পাঠানো স্বাস্থ্য নীতিমালায় স্পষ্টত উল্লেখ করে দিয়েছে করোনার সময়ে এত সংখ্যক ক্রিকেটার যেন দেশটি সফর না করে।

আর মূলত বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার জাতীয় দলের মধ্যকার সিরিজটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং আইসিসি'র বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনের সিরিজ। তাই সবার আগে গুরুত্ব পাচ্ছে জাতীয় দলের সিরিজটিই। আর অন্যদিকে এইচপি দলের সিরিজটি জাতীয় দলের মতো কোনো চ্যাম্পিয়নশিপের অধীনে না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে আবারও এই সিরিজ আয়োজন করা সম্ভব হবে।