গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বজ্রপাতে ১২ জন নিহত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাতে নিহতের ঘটনা ঘটছে। এভাবে প্রায় দিনই পত্রিকায় বজ্রপাতে হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়। দিনদিন বেড়েই চলছে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা। বজ্রপাত বৃদ্ধির কারণ কী, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা
ইসলাম
প্রত্যেক মুমিনেরই কাম্য জান্নাত। আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে যাওয়ার পথও আমাদের বাতলে দিয়েছেন। আর তা হলো সিরাতুল মুস্তাকিম। এ পথে গমন করতে হলে কিছু কর্ম করা আবশ্যক। মহানবী সা: নির্বিঘেœ জান্নাতে যাওয়ার কিছু সহজ আমল বলে দিয়েছেন।
আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। সময়মতো জামাতের সঙ্গে নামাজ আদায়ের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। জামাতে নামাজ পড়ার জন্য কাতার সোজা করার গুরুত্ব অপরিসীম।
মানুষ চিন্তা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলা মানুষকে সৃষ্টির মধ্যে বিবেচনা, চিন্তাশীলতা ও গবেষণার মতো শ্রেষ্ঠ গুণের সমন্বয়ে সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীলতা, সৃজনশীলতা, সৃষ্টিশীলতা মানবজাতিকে সব প্রাণীর ্েরচয়ে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন করেছে।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেন, ‘অবশ্যই বিশ্বাসীরা সফল হয়েছে’। (সূরা মুমিনুন-০১) আপনি একজন মুমিন, একজন ঈমানদার, একজন আল্লাহপ্রেমী মানুষ, কখনোই হতাশ হতে পারে না। হতাশা মুমিনের সাথে যায় না। সবসময় আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে, তাঁর করুণা, দয়া ও স্নেহের যে আলোকধারা মুমিনের ওপর বর্ষিত হচ্ছে, তা থেকে আপনি (মুমিন) কীভাবে নিরাশ হবেন?
আমাদের সবারই কাম্য জান্নাতে যাওয়া। কিন্তু যে সব কাজ করলে জান্নাতে যাওয়া যাতে সে সব কাজ কি আমরা সবাই করি? আল্লাহ তায়ালা ও রাসূলুল্লাহ সা: চান প্রতিটি মুমিন যেন জান্নাতবাসী হয়। তাই পবিত্র কুরআন ও হাদিসে জান্নাতে যাওয়ার সুস্পষ্ট পথ বাতলে দেয়া হয়েছে।
পৃথিবীতে আল্লাহ মানুষকে অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন। যেগুলো যথাযথ নিয়মে ভোগ করা মানুষের কর্তব্য। কারণ এর মাধ্যমে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা হয়।
প্রতিটি জিনিসেরই চূড়া বা শীর্ষ রয়েছে। আর কুরআনুল কারিমের চূড়া বা শীর্ষ হলো ‘আয়াতুল কুরসি’। আয়াতুল কুরসি মূলত কুরআনুল কারিমের সবচেয়ে বড় সূরা আল বাকারার ২৫৫নং আয়াত। যেটি কালামে পাকের একটি ফজিলতপূর্ণ আয়াত। হাদিস শরিফে এ আয়াতে কারিমার অনেক গুরুত্ব আলোচনা করা হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি আলোকপাত করা হলো-
আগামী ২১ সেপ্টেম্বর বুধবার পবিত্র আখেরী চাহার সোম্বা পালিত হবে। বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৪ হিজরি সনের পবিত্র সফর মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সেই মোতাবেক আগামীকাল সোমবার থেকে পবিত্র সফর মাস গণনা শুরু হবে বলে আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
কোরআন ফজিলতপূর্ণ গ্রন্থ। এর বিশুদ্ধ তিলাওয়াত একটি স্বতন্ত্র ইবাদত। প্রতিটি হরফ তিলাওয়াতের বিনিময়ে সর্বনিম্ন দশটি নেকি পাওয়া যায়।
জুমার মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এ দিন এলেই মানুষ নামাজের প্রতি বিশেষ আকর্ষণবোধ করেন। যেমনটি সপ্তাহের অন্য দিনগুলোতে হয় না।
রাজধানী ঢাকার ওয়ারীতে লারমিনি স্ট্রিটের মাসজিদুন নূরে টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করে পুরস্কার জিতেছে ৩৯ জন কিশোর।
মৃত্যু এক চিরন্তন বাস্তবতা। বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী সবার জন্য অবধারিত সুনিশ্চিত এই মৃত্যু। মৃত্যুর থাবা থেকে কেউই রেহাই পাবে না। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই আমরা সবাই চাই আমাদের মৃত্যুটা যেন সুন্দর হয়। উত্তম প্রস্থান আমাদের সবার কাম্য। চিরবিদায়ের সূচনাটা যেন প্রশান্তিকর হয়- জীবনজুড়ে একজন মুমিনের এটাই মৌলিক কামনা।
১. ওযূ অবস্থায় ঘুমানো ব্যক্তি
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় (ওজূ অবস্থায়) ঘুমায় তার সাথে একজন ফেরেশতা নিয়োজিত থাকে। অতঃপর সে ব্যক্তি ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার সাথেই আল্লাহতালার সমীপে ফেরেশতাটি প্রার্থনায় বলে থাকে, হে আল্লাহ! তোমার অমুক বান্দাকে ক্ষমা করে দাও, কেননা সে পবিত্রাবস্থায় ঘুমিয়েছিল।"
(আল ইহসান ফি তাকরির সহীহ ইবনে হিব্বান ৩/৩২৮-৩২৯)
পানি শব্দটি আক্ষরিক বিবেচনায় ছোট হলেও বাস্তবতায় এর মূল্য কম নয়। পৃথিবীর সব কিছুই মৌলিকভাবে পানির ওপর নির্ভরশীল। সে জন্য পানিকে বলা হয় সব প্রাণের উৎস। সৃষ্টিকর্তার এই অপরূপ ও অপার নিয়ামত, শুধু দেহের পিপাসাই নিবারণ করে না, এটি ব্যবহৃত হয় সৃষ্টির নানাবিধ কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হিসেবে এবং পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য রক্ষায় রাখে অনস্বীকার্য অবদান।
পরস্পরের মাঝে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ইসলামের শিক্ষা। সম্পর্ক বজায় রাখতে আমরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করি। এরমধ্যে একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ একটি পদ্ধতি। সাক্ষাতের সময় প্রথমেই আমরা সালাম বিনিময় করি এবং মুসাফাহা করি। এ সম্পর্কে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা একে অপরের সঙ্গে মুসাফাহা করো, এতে তোমাদের অন্তরে বিদ্যমান প্রতিহিংসা ও বিদ্বেষ দূর হয়ে যাবে। একে অন্যকে হাদিয়া প্রদান করো, এতে হৃদ্যতা সৃষ্টি হবে এবং শত্রুতা ও ঘৃণা দূরীভূত হবে।’ (আবু দাউদ : ৫২১২)।