নোয়াখালীতে গৃহবধু নির্যাতন: সুমন রিমান্ডে, দেলোয়ার কারাগারে

নোয়াখালীতে গৃহবধু নির্যাতন: সুমন রিমান্ডে, দেলোয়ার কারাগারে

মঙ্গলবার সকালে সুমনকে আদালতে হাজির করা হয়।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন দেলুকে ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। একইসাথে মামলার ৬ নম্বর আসমী ৪ দিনের রিমান্ড ‍দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে দেলোয়ারকে নোয়াখালী চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাসফিকুল হকের আদালতে হাজির করা হয়। তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্ণোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলায় অন্তর্ভূক্তি করার জন্য মামলার সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাক আহাম্মেদ আদালতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত দেলোয়ারকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এদিকে নির্যাতন মামলার ৬ নম্বর আসামি সামছুদ্দিন সুমনকে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া নারী নির্যাতনের ঘটনায় সালিশ বৈঠককারী মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ মেম্বারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া পিবিআই সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকালে আসামি আবুল কালামের রিমান্ড শেষে তাকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর জন্য আদালতে তোলা হবে।

আসামীদের মধ্যে প্রধান আসামি বাদলসহ ৭জন নিজেদের দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে ওই নারীর স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে শ্বশুরবাড়ি একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে যান। বিষয়টি দেখে স্থানীয় দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার রাত ১০টার দিকে তার লোকজন নিয়ে ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করেন। পরে পর পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার অপবাধ দিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এছাড়াও তাকে মারধর শুরু করেন। এক পর্যায়ে পিটিয়ে নারীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। গত ৪ অক্টোবর দুপুরে ওই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।