ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রায়হান পেলেন জিপিএ ৫
সংগৃহীত ছবি
ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত আবু রায়হান এইচএসসি (আলীম) পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছেন। ছেলের এমন ফলাফলে অঝোরে কাঁদছেন মা। মায়ের ইচ্ছে ছিল ছেলে আবু রায়হান ডাক্তার হয়ে গরিব-দুঃখী মানুষের সেবা করবে। আর শেষ বয়সে বাবা-মায়ের দেখভাল করবে। সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল নিহত আবু রায়হানের মা রাহেনা বেগমের। ছেলের পাওয়া গোল্ডকাপ মেডেল আর লাগানো গোলাপ গাছ যেন রেখে যাওয়া শেষ স্মৃতি।
জানা গেছে, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ফজলে আলম ও রেহেনা বেগমদম্পত্তির সন্তান আবু রায়হান। তিন বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিল আবু রায়হান। তিন বোনের বিয়ে হয়েছে। বাবা ফজলে আলম ও রেহেনা বেগম একমাত্র ছেলে আবু রায়হানকে নিয়ে সুখেই দিন পার করছিলেন। গেল জুলাইয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে ঘাতকদের অগ্নিসংযোগে শহীদ হন আবু রায়হান।
শহীদ আবু রায়হানের মা রেহেনা বেগম কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সন্তানকে নিয়ে কেউ কটু মন্তব্য করতে পারবে না। সে অনেক ভদ্র ও ভালো ছিল। আমাকে বলত মা তোমার স্বপ্ন পূরণ করব ডাক্তার হয়ে। আমার ছেলে আবারও জিপিএ-৫ পেয়েছে। কিন্তু দুনিয়াতে সে বেঁচে নেই, কে স্বপ্ন পূরণ করব এখন। কি হবে আমার পরিবারের!
শহীদ আবু রায়হানের বাবা ফজলে আলম রাশেদ বলেন, আজকের আনন্দের দিনে এতটুকু ভেবে আনন্দ লাগছে যে, আমার মেধাবী সন্তান শহীদ হয়েছেন দেশের জন্য। আমি একজন গর্বিত শহীদের বাবা। তাকে একজন মানবিক চিকিৎসক বানানোর স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে তার রেখে যাওয়া নতুন বাংলাদেশ আবার নতুন করে সাজবে এই প্রত্যাশা।