১৬ বছর পর ডিমলায় প্রকাশ্যে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

১৬ বছর পর ডিমলায় প্রকাশ্যে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

সংগৃহীত

নীলফামারীর ডিমলায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১৬ বছর পর প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আয়োজিত এ সম্মেলনে প্রায় ৮ হাজারের বেশী কর্মীর জমায়েত দেখা গেছে।‌

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ডিমলা উপজেলার উদ্যোগে ওই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সম্মেলনে যোগ দেন জামায়াত কর্মীরা। এছাড়াও এই সম্মেলনে তিন শতাধিকের বেশী সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষ দেখা গেছে।

ডিমলা উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাওলানা মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সেখানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল বলেন, আমরা পরাধীন ছিলাম। এবার দ্বিতীয়বারের মতো ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা লাভ করেছি। স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছি। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আমলে আমরা নিজের ভোট দিতে পারিনি। দিনের ভোট রাতে হয়ে যেত। ভোট দিতে ভোটকেন্দ্রে যেতে হতো না। মানুষজন পরাধীন ছিল। সাংবাদিকরা সত্যকে তুলে ধরতে পারেননি। শাসকগোষ্ঠী ভিন্ন মতাবলম্বীদের কণ্ঠনালি চেপে ধরেছিল। 

তিনি আরও বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন শেখের বেটি দেশ ছেড়ে পালায় না। কিন্তু উনি দেশ ছেড়ে তো পালিয়েছেনই, এমনকি নিজ দলের কর্মী সমর্থকও পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়েছেন। এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণে সৎ, দক্ষ, দেশ প্রেমিক নাগরিক তৈরি করতে হবে। মানুষের ভালোবাসা অর্জন করতে হবে। 

এ সময় ডিমলা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি কাজী রোকনুজ্জামান বকুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য ও নীলফামারী জেলা জামায়াতের আমির মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, জেলা নায়েবে আমির ড. খাইরুল আনাম, জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সাত্তার, জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা আন্তাজুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতারা। জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতারা সেখানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও সনাতন সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে আকাশকুড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী কামিনী মোহন রায় সেখানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে ইসলামী সঙ্গীত পরিবেশন করেন নীলাচল শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা।