বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত ইমরুল

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত ইমরুল

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন বাফুফে নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী ছিলেন দুজন। মো. ইমরুল হাসান ও সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার তরফদার রুহুল আমিন। দুজনের মাঝে রুহুল আমিন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হলেন ইমরুল।

বাফুফে নির্বাচনকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে সহ-সভাপতি পদের মনোনয়ন কিনেছিলেন তরফদার রুহুল আমিন। আজ (রোববার) দুপুর ২টা পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল। নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট আগে মনোনয়ন প্রত্যাহার পত্র জমা দেন তার প্রতিনিধি।

মিনিট দশেকের আনুষ্ঠানিকতায় সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঁচটি কারণ দেখিয়ে প্রত্যাহার পত্র জমা দেন সেই প্রতিনিধি। আজ সন্ধ্যায় বাফুফে প্রার্থীদের ব্যালট নম্বর প্রদান করে। সেখানে সহ-সভাপতি পদে শুধু ইমরুল হাসানের নাম থাকায় বিনা ভোটে নির্বাচিত হলেন তিনি।

আসন্ন বাফুফে নির্বাচনে সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মনোনয়ন কিনেছিলেন তরফদার রুহুল আমিন ও ইমরুল হাসান। কয়েকদিন থেকেই ফুটবলাঙ্গনে গুঞ্জন ছিল, তরফদার রুহুল আমিন শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়াবেন। সেই গুঞ্জন সত্যি করে তরফদার মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার আবেদন করেন।

এ অবস্থায় সহ-সভাপতি পদে শুধু ইমরুল হাসানই টিকে ছিলেন। আর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর সেখানে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় বিনা বাধায় নির্বাচিত হলেন ইমরুল।

এদিকে বাফুফে নির্বাচনে গতকাল সদস্য পদ থেকে দুই জন প্রত্যাহার করেছেন। আজ সকালে বাফুফে নির্বাহী সদস্য মহিদুর রহমান মিরাজ প্রত্যাহার করেছেন। ১৫ নির্বাহী সদস্যের বিপরীতে প্রার্থী ৩৭ জন। সহ-সভাপতি চার পদের বিপরীতে ৬ জন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ২ জন ও সভাপতি পদে লড়বেন ২ জন প্রার্থী।

এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা আগেই জানিয়েছেন বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। এরপরই সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তরফদার রুহুল আমিন।