যোগী রাজ্যের গ্রামে কর্মীর খোঁজে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী

যোগী রাজ্যের গ্রামে কর্মীর খোঁজে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী

হাথরসে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ছবি পিটিআই।

পুলিশের বাধা সত্ত্বেও তিনি হাথরসে গিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে রাস্তায়, মাঠেঘাটে কংগ্রেসের নেতা-কর্মী না থাকলে যোগী আদিত্যনাথের সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করা কঠিন তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী।

তাই উত্তরপ্রদেশে ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি রাজ্যের ৬০ হাজার গ্রামের প্রতিটিতে কংগ্রেসের সংগঠন দাড় করতে চাইছেন।

এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ঙ্কা বলেন, “অমেঠী-রায়বরেলীর অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি, জমিতে দলের কর্মীরা না থাকলে লড়াই করা মুশকিল। তাই আগে নীরবে সংগঠন মজবুত করার চেষ্টা করছি। আমার আশা, ডিসেম্বরের মধ্যে ৬০ হাজার গ্রামে কংগ্রেসের সংগঠন দাঁড় হয়ে যাবে। এর পর ভোটের আগে সামগ্র ২০২১ হাতে থাকছে।”

এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে উত্তরপ্রদেশের পুরোপুরি দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পরেই প্রিয়ঙ্কা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যকরী কমিটি ছোট করে ফেলেছেন। প্রিয়ঙ্কা বলেন, “আগে ৫০০ জন ছিলেন। কিন্তু গোটা কমিটি নিষ্ক্রিয় ছিল। ৫০০ জনের মধ্যে কাউকে দায়বদ্ধ করা যায় না। তাই ৫৫ জনের কার্যকরী কমিটি তৈরি করেছি।” লালবাহাদুর শাস্ত্রীর ছেলের ঘরের নাতি বিভাকর শাস্ত্রীকে আজ প্রিয়ঙ্কার উপদেষ্টা কমিটির নতুন সদস্য হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। শাস্ত্রীর মেয়ের ঘরের নাতি, বিজেপি নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিংহ যোগী সরকারের মন্ত্রী।

উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতারা চাইছেন, এখনই প্রিয়ঙ্কাকে ‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখ’ হিসেবে ঘোষণা করে দেওয়া হোক। প্রিয়ঙ্কার জবাব, “যখন সিদ্ধান্ত হবে, তখনই জানানো হবে।” তবে দিল্লিতে বসে যে উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক লড়াই সম্ভব নয়, তা-ও মানছেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা বলেন, “আমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে লাঠি, ধাক্কা খেতে, জেলে যেতে তৈরি।”


সূত্র: আনন্দবাজার।