ভোটার হওয়ার বয়স ১৫ বছর করে দেওয়া উচিত : হাসনাত আব্দুল্লাহ

ভোটার হওয়ার বয়স ১৫ বছর করে দেওয়া উচিত : হাসনাত আব্দুল্লাহ

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে ভোটার হওয়ার বয়স ১৫ বছর করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, এখন সবাই অনেক সচেতন। বাজারে কী ফোন এসেছে তা এখানকার সবাই জানে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের মাঠে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শিক্ষার্থীরা প্রজাপতির মতো, মৌমাছির মতো ও ভ্রমরের মতো। এদের মধ্যে প্রজাপতির মতো যে শিক্ষার্থী রয়েছে তারা ইতিবাচক, নেতিবাচক প্রভাব রাখতে পারে না। আর যারা মৌমাছির মতো, তারা ফুলের মধু আহরণ করে। তার মানে শিক্ষকের কথা শোনে। সে মোতাবেক পড়াশোনা করে। এছাড়া ভ্রমর ধরনের যারা শিক্ষার্থী, তারা যেমন ঘুরে বেড়ায় তেমনি তারা পড়াশোনাও করে। তাই শিক্ষার্থীদের মৌমাছির মতো হতে হবে। ভালোভাবে জ্ঞান আহরণ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্ম ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত। আমাদের পূর্ব প্রজন্ম ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং আমাদের কাঁধ শক্ত করতে হবে। যেন আমরা তাদের দায়িত্ব নিতে পারি। একই সঙ্গে আগামীর প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি। মনে রাখতে হবে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব তরুণ প্রজন্মকেই নিতে হবে।

মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, কাউকে দলকানা হওয়া যাবে না। যারা ক্ষমতা পিপাসু যাদের কাছে জীবনের চেয়ে ক্ষমতার মূল্য বেশি, তাদের আমাদের এখন থেকে পরিত্যাগ করতে হবে। আমাদের তরুণদের রাজনৈতিকভাবে সচেতন হতে হবে। দেশে এত বড় একটা গণহত্যা চালানো হয়েছে সেটা কী কারণে হয়েছে এটা মনে রাখতে হবে। এ জন্য কেউ যদি আপনার কথা শোনে, আপনার কথা বলে, আপনার জন্য কাজ করে এবং আপনার কাছে জবাবদিহি করার জন্য প্রস্তুত থাকে, সে যেই হোক না কেন প্রতিনিধি হিসেবে তাকেই বেছে নেবেন। এ সময় ১৯৭১ সালের সালের ইতিহাস যেমন শিক্ষার্থীদের পড়ানো হয়, তেমনি ২০২৪ সালে যে গণঅভ্যুত্থান হয়েছে সেটিও পাঠ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে পড়ানো উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

কাজী শাহাবুদ্দিন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ ইমদাদুল হক বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত যে আমাদের নারী শিক্ষাখ্যাত প্রতিষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ এসেছেন। সারজিস আলম আমাদের পঞ্চগড়ের কৃতি সন্তান। সে এখান থেকে উঠে আজকের এই অবস্থানে এসেছে। তাই সারজিসের মতো শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন দেখতে হবে, দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে।