বাংলাদেশিসহ ৭ অভিবাসীকে ফেরত পাঠাল রোমানিয়া
ছবি: সংগৃহীত
ইউরোপের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের দেশ রোমানিয়ার সীমান্ত পুলিশ দক্ষিণ এশিয়ার তিনটি দেশের সাতজন অভিবাসীকে পুলিশি প্রহরায় নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে। গত ২ নভেম্বর থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে ফেরত পাঠানোর এই অভিবাসীদের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন। এছাড়া বাকিদের মধ্যে পাঁচজন শ্রীলঙ্কান এবং একজন আফগান। বৃহস্পতিবার রোমানিয়ার অভিবাসন বিষয়ক দপ্তর (আইজিআই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
পৃথক অভিযানে আরাদ এবং অতোপেনি ডিটেনশন সেন্টার থেকে সংশ্লিষ্টদের পুলিশি প্রহরায় কলম্বো, কাবুল এবং ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে। সাতজনের মধ্যে ছয়জনই বৈধ কজের ভিসা নিয়ে ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে রোমানিয়ায় এসেছিলেন। কিন্তু তারা এক পর্যায়ে দেশটিতে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। ফলে অনিয়মিত উপায়ে রোমানিয়া থেকে হাঙ্গেরিতে ঢুকতে গিয়ে রোমানিয়ার সীমান্ত পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তারা।
সাত অভিবাসীকে কয়েকটি আলাদা ফ্লাইটে দেশটির ক্লুজ নাপোকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং বুখারেস্টের হেনরি কোয়ান্ডা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়।
দেশ ছাড়ার সময় সাত অভিবাসীকে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য রাষ্ট্র, ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকা এবং সুইস কনফেডারেশনের অঞ্চলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আংশিকভাবে ইউরোপের অবাধ চলাচল অঞ্চল শেনেজেন জোনে প্রবেশের পর থেকেই দেশটির অভিবাসন পুলিশ অনিয়মিত অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
রোমানিয়া আংশিক শেনজেনে প্রবেশের অর্থ হলো দেশটিতে অবস্থানরত অভিবাসীদের রেসিডেন্স পারমিট বা বসবাসের অনুমতি থাকলে তারা বিমানযোগে শেনজেনে জোনে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। কিন্তু তারা চাইলেই সড়কপথে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে অন্য দেশে যেতে পারবেন না।
এমন পরিস্থিতিতে দেশটিতে আসা নিয়মিত অভিবাসীদের মধ্যে যারা নিয়োগকর্তা কিংবা অন্যান্য কারণে অনিয়মিত হয়ে পড়েন, তারা অনিয়মিত উপায়ে লরি কিংবা কোনো গাড়িতে চড়ে হাঙ্গেরি হয়ে পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে যেতে চান।
কিন্তু সীমান্তগুলোতে বুলগেরিয়া, তুরস্ক এবং রোমানিয়ার যৌথ টহলে ধরা পড়েন অভিবাসীরা৷ সীমান্তে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি সিদ্ধান্ত জারি করে কর্তৃপক্ষ। ইনফোমাইগ্রেন্টস।