লেবাননে শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হামলা, আর্জেন্টিনার সেনা প্রত্যাহার

লেবাননে শান্তিরক্ষী ঘাঁটিতে হামলা, আর্জেন্টিনার সেনা প্রত্যাহার

সংগৃহীত

লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চারজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। দক্ষিণ লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে রকেট হামলার কারণে এই ঘটনা ঘটে।

এদিকে, দক্ষিণ লেবাননের শান্তিরক্ষা মিশনে ইসরায়েলের বর্বরোচিত রকেট হামলার পর আর্জেন্টিনা ইউনিফিল থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

 ইউনিফিল নামে পরিচিত ১০ হাজার সেনা সদস্যের শক্তিশালী শান্তিরক্ষা মিশনটি ইসরায়েলের সঙ্গে সীমানা রেখা নিরীক্ষণের জন্য দক্ষিণ লেবাননে মোতায়েন রয়েছে, এমন একটি এলাকা যেখানে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েল এবং ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহ গেরিলা যোদ্ধারা মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

লেবাননে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারিম ফোর্স ইন লেবানন (ইউনিফিল) জানিয়েছে, ইসরায়েলের সীমান্তের কাছে রামিয়াহ গ্রামের পূর্বে একটি ঘাঁটিতে রকেট আঘাত হানার পর ঘানার চারজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজনের হাসপাতালে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়েছে। অবশ্য তাদের আঘাতের তীব্রতা এখনও অজানা।

ইউনিফিল আরও বলেছে, শামার আরেকটি ঘাঁটিও রকেটের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বর্তমানে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে দক্ষিণ লেবাননে স্থল আক্রমণ চালাচ্ছে। রকেট হামলার উভয় ঘটনার জন্য লেবাননের সশস্ত্র এই গোষ্ঠীকে দায়ী করেছে তারা। যদিও হিজবুল্লাহ এখনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি।

এছাড়াও মঙ্গলবার ইউনিফিলের একটি টহল দল খিরবাত সিলিম গ্রামের উত্তর-পূর্ব দিকে একটি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়। সেই ঘটনায়ও কেউ আহত হয়নি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক বিবৃতিতে ইউনিফিল তার জনবল এবং অবকাঠামোর ওপর হামলার নিন্দা করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়মিত হামলার ধরন অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে যে কোনও আক্রমণ আন্তর্জাতিক আইন এবং রেজোলিউশন ১৭০১ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ১৯৭৮ সালে হামলার পর লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা তা তদারকি করতে ইউনিফিল গঠন করা হয়েছিল। ইউনিফিলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১০ হাজারের বেশি শান্তিরক্ষী রয়েছেন।

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ২০০৬ সালের যুদ্ধের পর জাতিসংঘ তাদের মিশন সম্প্রসারিত করে এবং সীমান্ত বরাবর তৈরি করা ‘বাফার জোনে’ টহলদারি করতে শান্তিরক্ষীদের অনুমতি দেওয়া হয়।