চিকিৎসা নিতে গিয়ে কেও যেন হয়রাণির শিকার না হয়: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

চিকিৎসা নিতে গিয়ে কেও যেন হয়রাণির শিকার না হয়: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক

সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকঅধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক(ডিজি) অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেছেন,“ “বিশ্বব্যাপী চলছে করোনা। করোনাকালীন সময়ে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। শীত মৌসুমে এর প্রভাব বিস্তার হতে পারে, মাস্ক ব্যবহার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বজায় রেখে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। একজন মানুষও যেন চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে না যায় এবং হয়রাণীর শিকার না হয়; সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।”

চিকিৎসাপ্রার্থীদের অবশ্যকীয় সেবা দেয়াই ডাক্তারদের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য।তাই ডাক্তারদের পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করতে হবে। সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন না করলে সেই সকল ডাক্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মনে রাখতে হবে চিকিৎসা নিতে গিয়ে কেও যেন হয়রাণির শিকার না হয়।” বুধবার (২৮ অক্টোবর ) সন্ধ্যায় সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্যকালে তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বহু দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এখোনো অনেকটা ভালো অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সে কারণেই পৃিথবীর অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশের পরিস্থিতি এখনো অনেকটা ভালো। তাই বলে সরকার বসে নেই। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সতর্কতার সাথে সব ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষের জীবন রক্ষার পাশাপাশি সরকারকে মানুষের জীবিকাকেও রক্ষা করতে হয়। সে কারণে জীবন ও জীবিকা দু’টাই রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন শুরুর দিকে করোনার আতঙ্ক সকলের মাঝেই ছিল। সেই আতঙ্ক অনেকটাই কমেছে। প্রথমে করোনার সময় অন্য রুগীদের সেবা পেতে সমস্যা হয়েছে,আবার দ্বিতীয়টি আসছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এখন আল্লাহর রহমতে ওই সমস্যাটা হবেনা। এখন একটা চিকিৎসা প্রোটকল চলে আসছে। ওই আতঙ্ক চলে গেছে। শুরুতে তো বোঝা যাচ্ছিলনা জিনিসটা কী? ডাক্তার-স্টাফরাও এখন আর ভয় পাচ্ছেনা। এ সময় তিনি বলেন, নো মাস্ক নো সার্ভিস। সরকারের এই নির্দেশনা আমাদের সকলকেই মানতে হবে। আর কেউ মাস্ক না পরলে সেবা পাবেন না। তাই সব জায়গায়,সব প্রতিষ্ঠান,হাট-বাজার বা শপিংমল বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং সামাজিক ও ধর্মীয় সম্মেমলনে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বলে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহা পরিচালক আরো বলেন,“বিশ্বব্যাপী চলছে করোনা। করোনাকালীন সময়ে মাস্ক ব্যবহারের বিকল্প নেই। শীত মৌসুমে এর প্রভাব বিস্তার হতে পারে, মাস্ক ব্যবহার ও পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বজায় রেখে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রাখতে হবে। একজন মানুষও যেন চিকিৎসা নিতে এসে ফিরে না যায় এবং হয়রাণীর শিকার না হয়; সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।” তিনি বলেন, এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যে সকল চিকিৎসক নেই, সেগুলো পর্যায়ক্রমে পুরণ করা হবে। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জন সংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আক্কাস আলী সেখ।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মেহেদী ইকবাল, সুজানগর পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ হাবিবুর রহমান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ সেলিম মোর্শেদ, জেলা ইপিআই সুপারেনটেনডেন্ট রবিউল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডাঃ আব্দুল্লাহ হেল বাকি, উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ শফিফুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে মহা পরিচালক উপজেলার দ্বারিয়াপুর উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পরিদর্শন করেন। এসময় স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ তার সাথে ছিলেন।