এমপি পাপুল-সেলিমা দম্পতির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ে মামলা

এমপি পাপুল-সেলিমা দম্পতির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ে মামলা

এমপি কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রী কাজী সেলিনা ইসলাম

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি কাজী সহিদ ইসলাম পাপুল ও তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার বেলা ১১টার দিকে সংস্থাটির উপপরিচালক মোঃ সালাউদ্দিন মামলাটি করেন।

মামলায় ১৪৮ কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে এমপি পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি কাজী সেলিনা ইসলাম, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম ও শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার এমপি পাপুল ও তার স্ত্রীসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এই মামলার অনুমোদন দেয়া হয়।

দুদকের অনুসন্ধানে পাপলুর শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের নামে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার একটি এফডিআরের সন্ধান পাওয়া গেছে। জেসমিন তথ্য গোপন করে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর থেকে পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। তাই তার বিরুদ্ধে দুদক আইন-২০০৪-এর ২৭(১) ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া পাপুল, তার স্ত্রী ও মেয়ে অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থ এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকে এফডিআর হিসেবে জমা করেন।

ওইসব এফডিআরের বিপরীতে জেসমিন প্রধান ২৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার ঋণ সুবিধা গ্রহণ করেন। বিভিন্ন ব্যাংকে জেসমিন প্রধানের নিজ নামে ও তার স্বার্থসংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে করা ব্যাংক হিসাবে ২০১২ সালের জুন থেকে চলতি বছরের ৭ জুন পর্যন্ত মোট ১৪৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা জমা হয়। পরে এসব হিসাব থেকে ১৪৮ কোটি ২১ লাখ টাকা পাচার করা হয় ।

উল্লেখ্য, মানব ও অর্থ পাচারের অভিযোগে চলতি বছরের জুনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলকে গ্রেফতার করে কুয়েতের সিআইডি। তিনি বর্তমানে দেশটির কারাগারে আছেন। গোয়েন্দাদের রিমান্ডে পাপুলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কুয়েতের বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে পাপুলের নামে জমা থাকা ১৩৮ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুদকে পেশ করা অভিযোগে বলা হয়, তিনি কুয়েতে মানব পাচার করে প্রায় এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। হুন্ডির মাধ্যমে ওই অর্থ দেশে আনা ও বিভিন্ন দেশে পাচারের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগে। হুন্ডি ও ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে ২০১৬ সালে বিদেশ থেকে ২৮০ কোটি টাকা দেশে এনেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।