বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর : চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর : চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ

ছবি : সংগৃহীত

কুষ্টিয়া শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  ভাস্কর্য ভাঙার অপরাধে গ্রেফতার করা চার আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার রিমান্ড শুনানীর দিন ধার্য করেছে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত কুষ্টিয়ার বিচারক রেজাউল করিম এ আদেশ দেন।

এর আগে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নীশিকান্ত সরকার আদালতের কাছে ওই আসামিদের মধ্যে মাদরাসার দুই ছাত্রের ১০ দিন ও মাদরাসার দু’জন শিক্ষককে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের কুষ্টিয়া পুলিশ লাইন থেকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এ সময় আদালত প্রাঙ্গনে উপস্থিত আইনজীবী ও উৎসুক জনতার ভীড় লক্ষ্য করা যায়। এ সময় একটি মাইক্রোবাসে করে মামলার আসামিদের আদালতে নেয়া হয়।

মামলার আসামিরা হলেন, শহরতলী জুগিয়া পশ্চিম পাড়া ইবনে মাসুদ রা: মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র আবু বক্কর ওরফে মিঠন, সবুজ ইসলাম ওরফে নাহিদ, মাদরাসা শিক্ষক আলামীন ও ইউসুফ আলী।

আদালতে তোলার পর আসামিদের সেখানে জেল হাজতে রাখা হয়। কিছু সময় পরে তাদের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

আসামিদের মধ্যে মিঠুন ও নাহিদকে ১০ দিনের রিমান্ড ও শিক্ষক আলামীন ও ইউসুফকে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছেন মামলার বাদি। পরে আদালত মঙ্গলবার পুনরায় রিমান্ডের শুনানীর দিন ধার্য করে ও আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ২টার থেকে ২টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত এর মধ্যবর্তি সময়ের মধ্যে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তা মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙে মাদরাসাছাত্র মিঠন ও নাহিদ।

এ সময় তারা বাঁশের মই দিয়ে চূড়ায় ওঠে সাথে থাকা হাতুড়ি দিয়ে নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে আঘাত করে। এতে হাত ও মুখের বিভিন্ন অংশ ভেঙে ভাস্কর্যটি বিকৃত করে ফেলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়ায়। দীর্ঘ ২৩ ঘণ্টা পর শনিবার বিভিন্ন সিসিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ আসামিদের সানক্ত করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়। এ সময় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এ ঘটনার সাথে আর কোনো ব্যক্তি বিশেষ বা সংগঠন জড়িত থাকলে তাদের সনাক্ত করা হবে।