ছাত্রলীগের কর্মী সভায় মারামারিতে আহত ৩

ছাত্রলীগের কর্মী সভায় মারামারিতে আহত ৩

ছবিঃ সংগৃহীত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের কর্মীসভা চলাকালে দুই সাংগঠনিক সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসময় ৩ জন আহত হয়েছে। 

আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ার সংলগ্ন সমবায় মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কাজীপাড়াস্থ আইডিয়েল হাই একাডেমির ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী একই এলাকার খন্দকার নূর, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নীরব এবং আরেকটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদাফ। তাদের সবাইকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত কর্মীসভার শেষ পর্যায়ে ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন সড়কের সামনে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সেখানে থাকা চায়ের দোকানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (১) মো. মহসীন মোল্লার সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় আরেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীন আফ্রিদির অনুসারীরা। দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মহসীন মোল্লার সমর্থকদের বেধড়ক পেটাতে থাকে। পরে উভয়পক্ষের সমর্থকরা মারামারিতে লিপ্ত হয়। এসময় পুলিশ মঠের গোড়া ও পৌরসভার দিক থেকে লাঠিচার্জ করে দু'পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। 

জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, আহত তিনজনের মধ্যে খন্দকার নূরের মাথায় পাঁচটি এবং নীরবের মাথায় তিনটি সেলাই লেগেছে। আহত সাদাফের সেলাই লাগেনি, তাকে ব্যান্ডেজ দেওয়া হয়েছে। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র বণিক জানান, দু'পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে দুদিক থেকে পুলিশ এসে তাদেরকে নিবৃত্ত করে। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে উভয় পক্ষের লোকজনই ঘটনাস্থল ত্যাগ করায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। 

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (১) মো. মহসীন মোল্লা বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। অথচ দক্ষিণ পৈরতলার ছেলেরা আমার অনুসারী ছেলেদেরকে পিটিয়ে রক্তাক্ত আহত করেছে। আহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তবে রুহুল আমিন আফ্রিদি বলেন, উত্তর পৈরতলার একদল ছেলের সঙ্গে কাজীপাড়ার ছেলেদের ঝামেলা হয়েছে। আমার সমর্থকরা তাদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছে।