পাবনায় ইউপি সদস্য অপহরণের ৬ ঘন্টা পর উদ্ধার : ২ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

পাবনায় ইউপি সদস্য অপহরণের ৬ ঘন্টা পর উদ্ধার : ২ অপহরণকারী গ্রেপ্তার

ছবি : প্রতিনিধি

পাবনা পুলিশ দু’অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার ও অপহৃত ইউপি সদস্য কোবাদ আলী ব্যাপারী (৫৩) কে উদ্ধার করেছে। ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবিতে অপহৃত ইউপি সদস্য কোবাদ আলী ব্যাপারী (৫৩) কে অপহরণের ৬ ঘন্টা পর উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পাবনা পুলিশ।

 বৃহস্পতিবার (০৬ জানুয়ারি) রাতে পাবনা সদর উপজেলার চর আশুতোশপুর বাজার সংলগ্ন একটি মেহগনি গাছের বাগান থেকে অপহৃত কোবাদকে উদ্ধার এবং দুই অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

উদ্ধারকৃত ইউপি সদস্য কোবাদ আলী আমিনপুর থানার বাঘইল মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত হাকিম ব্যাপারীর ছেলে এবং সুজানগর ইউনিয়নের রানীনগর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য।

গ্রেফতারকৃত দুই অপহরণকারী হলো, পাবনা শহরতলীর সিঙ্গা উত্তরপাড়ার আহমেদ অলীর ছেলে মো: মামুন(২১) এবং পাবনা সদর উপজেলার চর আশুতোশপুর গ্রামের দেওয়ান আব্দুল্লাহর ছেলে দেওয়ান আসাদুল্লাহ তুষার (২৫)।

 এ বিষয়ে পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক    প্রেস ব্রিফিং এ জানান, বুধবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে কোবাদ আলী ব্যাপারী আমিনপুর থেকে বাস যোগে পাবনায় মেয়ের শশুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তিনি পাবনা বাস টার্মিনালে বাস থেকে নেমে রিক্সাযোগে রওয়ানা হওয়ার পর শহরতলীর মেরিল বাইপাস রোড এলাকায় ৫/৬ জন দুষ্কৃতিকারী অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরে তার পরিবারের কাছে মোবাইল ফোনে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরিবার বিকাশে ২ দফায় ৪৫ হাজার টাকা অপহরণকারীদের দেয়। এরপর বাঁকি টাকা পরিশোধের জন্য কোবাদ আলীকে মারধর করে। এ অবস্থায় কোবাদের স্বজনরা পাবনার পুলিশ সুপারকে জানালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মাসুদ আলম এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোবাদকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী চক্রের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে।

 পাবনার পুলিশ সুপার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, গ্রেফতার দুইজন পেশাদার অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে একইভাবে অপহরণ করার পর তাদের স্বজনদের কাছ থেকে মুক্তি পণ আদায় করে আসছিল। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। পাবনায় সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপারের কর্মদিবসের ৬ষ্ঠদিনে এটি একটি সাফল্য বলে অনেকে মনে করছেন।