ইবির এক শিক্ষকের করোনা পজিটিভ

ইবির এক শিক্ষকের করোনা পজিটিভ

ইবির এক শিক্ষকের করোনা পজিটিভ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের প্রভাষক জাফর আলী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার কুষ্টিয়া শহরের একটি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রে করা টেস্টে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। শনিবার তার সহকর্মী ও একই বিভাগের প্রভাষক শাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শাহবুব আলম জানান, পিএইচডি করার জন্য আক্রান্ত শিক্ষক জাফর আলীর মালয়েশিয়া যাওয়ার কথা ছিল। গতকাল শুক্রবার তার ফ্লাইট থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া হেলথ স্কুল কেন্দ্রে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন। পরে সন্ধ্যায় তার করোনা পজিটিভ  রিপোর্ট আসে। তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকায় তার নিজ বাসভবনে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্ত হওয়ার পরপরই বিষয়টি আবাসিক কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা প্রতিরোধ সেলকে জানানো হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক খোঁজ নিচ্ছেন। তার তেমন কোনো উপসর্গ না থাকায় এখনো পর্যন্ত সুস্থ আছেন। 

এদিকে, ওই শিক্ষক গত বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হলেও আবাসিক শিক্ষকদের বিষয়টি জানানো হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক শিক্ষক। তাদের অভিযোগ ওই শিক্ষক আক্রান্ত হওয়ার পরও আবাসিক কমিটি তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ছাড়াও আক্রান্ত শিক্ষক ও তার পরিবারের সদস্যরা আবাসিক এলাকার অন্য শিক্ষকদের পরিবারের সাথে স্বাভাবিক চলাফেরা করার অভিযোগও করেছেন তারা। করোনার নতুন ঢেউয়ের সময়ে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি আবাসিক শিক্ষকদের কাছে গোপন করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্য শিক্ষকরা।

আবাসিক শিক্ষক ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আকরাম হোসাইন মজুমদার বলেন, ওই শিক্ষক বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছেন অথচ সেদিনও তিনিসহ তার পরিবারের সদস্যরা অন্যদের সাথে আবাসিক এলাকা ও ক্যাম্পাসে ঘুরাঘুরি করেছেন। ফলে আমরাও আতঙ্কের মধ্যে আছি। আক্রান্ত হওয়ার পরও এখনো পর্যন্ত আবাসিক কমিটি থেকে নতুন কোন নির্দেশনা পাইনি। আমি মনে করি এখন আবাসিক এলাকা পুরোপুরি লকডাউন করা দরকার।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, তিনি কবে থেকে আক্রান্ত এটা আমি এখনো জানতে পারিনি। অন্য এক মাধ্যমে আমি শুক্রবার সন্ধ্যায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি জানতে পারি। এরপরই আমরা সার্বিক নির্দেশনা দিয়েছি। আজ মিটিং ছিল সেখান থেকে তার পরিবারের সার্বিক দেখাশোনার জন্য দুইজন শিক্ষকসহ তিনজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষক হয়তো আরো কয়েকদিন আগেই আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তবে আমরা জানার পর থেকেই সচেতনতমূলক পদক্ষেপ নিয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও করোনা প্রতিরোধে সেল গতকাল থেকে সার্বিক খোঁজ খবর রাখছে।