গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬৩ শিশুসহ নিহত, মৃত্যু বেড়ে বেড়ে ২১৮

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৬৩ শিশুসহ নিহত, মৃত্যু বেড়ে বেড়ে ২১৮

বুধবার সকালেও ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে- সংগৃহীত ছবি

দীর্ঘ প্রায় দুই সপ্তাহ যাবৎ গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। কাতার ভিত্তিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ি স্থানীয় সময় বুধবার (১৯ মে) সকাল পর্যন্ত এসব হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এরমধ্যে ৬৩ শিশু রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হামলা বন্ধের আহবানের পরও ইসরাইল হামলা করে যাচ্ছে।

আল-জাজিরার খবরে বলা হয়, বুধবার সকালে ইসরায়েলি বিমান থেকে মধ্যগাজার একটি আবাসিক ভবন লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত তিনজন নিহত হন। 

গাজার স্থানীয় ওয়াফা নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, এই হামলায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত তিনজন। 

আল-জাজিরার হিসেবে, বুধবার সকালে নিহত ৩ জনসহ এসব হামলায় ২২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে অন্তত ৬৫ শিশু। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা দুই হাজার ছাড়িয়ে গেছে। 

এদিকে ইসরায়েলি এসব হামলার জবাবে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে প্রতিরোধ আন্দোলনগুলো। এসব রকেটে এক ভারতীয় নারীসহ অন্তত ১২ ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুই ইসরায়েলি শিশুও রয়েছে। সেখানে এখন পর্যন্ত আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েলের দখলদারিত্বকে কেন্দ্র করে বেশ কিছুদিন ধরেই বিক্ষোভ চলছিল জেরুজালেমে। গত রোববার (৯ মে) লাইলাতুল কদরের রাতে আল-আকসায় নামাজ আদায় শেষে ফিলিস্তিনিরা বিক্ষোভ শুরু করলে ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় অন্তত ৯০ জন ফিলিস্তিনি আহত হন। 

সংঘর্ষের পর থেকে আল-আকসা মসজিদ ও তৎসংলগ্ন এলাকা ঘিরে রাখে ইসরায়েলি পুলিশ। এর জেরে আল-আকসা থেকে নিরাপত্তা বাহিনী প্রত্যাহারে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে হুঁশিয়ারি দেয় হামাস। কিন্তু ইসরায়েল ওই হুমকিকে আমলে না নিলে ১০ মে সন্ধ্যার পর গাজা থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে রকেট হামলা শুরু করে হামাস। তারপর থেকেই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।