ইউক্রেন সম্মেলনের আগে শঙ্কার কথা জানালেন জার্মান চ্যান্সেলর

ইউক্রেন সম্মেলনের আগে শঙ্কার কথা জানালেন জার্মান চ্যান্সেলর

ছবি: সংগৃহীত

আগামী জুন মাসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ইউক্রেন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনকে ঘিরে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের তেমন কোনো প্রত্যাশা নেই৷ ইউক্রেনে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে আয়োজন করা এই সম্মেলনে অবশ্য রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

জার্মান চ্যান্সেলর আগেভাগেই সুইজারল্যান্ডের সম্মেলন নিয়ে অবাস্তব প্রত্যাশা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন৷ জার্মানির ‘স্ট্যার্ন’ পত্রিকার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, সম্মেলনে ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি সম্পর্কে দরকষাকষি হবে না৷ সবকিছু ভালোভাবে এগোলে বড়জোর রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সরাসরি সংলাপ হতে পারে বলে শলৎস মনে করেন৷

সম্মেলনে আলোচনার তালিকায় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা, শস্য রপ্তানি, বন্দি বিনিময় ও পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের বিষয়ে চূড়ান্ত সংযমের মতো বিষয় থাকছে৷

এদিকে ইউক্রেনের জন্য ইউরোপের বাকি দেশগুলি যথেষ্ট অস্ত্র দিচ্ছে না বলে জার্মান চ্যান্সেলর কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ যদিও সোমবার জার্মানি ও নর্ডিক দেশগুলো রাশিয়ার লাগাতার হামলার মুখে ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র সাহায্য চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছে৷ জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস স্টকহোমে সুইডেন, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও নরওয়ের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর বলেন, যত কাল প্রয়োজন ইউক্রেনকে সহায়তা করা হবে৷

ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতেরি অর্পো খারকিভ শহরের কাছে রাশিয়ার সাম্প্রতিক সামরিক অভিযান সম্পর্কে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পশ্চিমা বিশ্বের দ্রুত পদক্ষেপের প্রয়োজন রয়েছে৷ তা না হলে খারকিভের দশা মারিউপোলের মতো হতে পারে৷

অন্যদিকে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ইউক্রেন সংক্রান্ত সম্মেলন নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন রাশিয়ার ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ।

তার মতে, রাশিয়াকে ছাড়া এমন আলোচনার অর্থ মস্কোকে সরাসরি ‘আল্টিমেটাম' দেওয়া৷ তিনি বলেন, শিশুকে বাইরে রেখে শিক্ষকরা ঘরের মধ্যে যেভাবে শাস্তি স্থির করেন, রাশিয়ার সঙ্গে সে রকম আচরণ করা যাবে না৷ সূত্র: ডয়চে ভেলে