কাউকে অপবাদ দেওয়া নিন্দনীয়

কাউকে অপবাদ দেওয়া নিন্দনীয়

কাউকে অপবাদ দেওয়া নিন্দনীয়

মহান আল্লাহ আমাদের প্রতিটি কাজ ও কথা সংরক্ষণ করে রাখেন। আমরা যা কিছু করি সব কিছু রেকর্ডেড থাকে। আমাদের প্রতিটি কাজের, কথার হিসাব আমাদের দিতে হবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘সে যে কথাই উচ্চারণ করে তার কাছে সদা উপস্থিত সংরক্ষণকারী রয়েছে।’ (সুরা : কাফ, আয়াত : ১৮)

বর্তমান যুগে পবিত্র কোরআনের এই ভাষ্য বোঝা খুবই সহজ। যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, তাঁরা হয়তো খেয়াল করেছেন যে আপনি যখন কিছু কিনতে আগ্রহী হন বা কোনো পণ্য নিয়ে কারো সঙ্গে আলোচনা করেছেন তারপর পরপরই দেখবেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনাকে সেই জিনিসের বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে। শুধু মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হ্যাকাররা যদি আমাদের সব ধরনের গতিবিধি অনুসরণ করতে পারে, তাহলে মহান আল্লাহ, যিনি এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করেন, তিনি আমাদের সব গতিবিধি সংরক্ষণ করে রাখা আশ্চর্যের কিছু নয়। তাই কোনো অনর্থক কাজ ও কথায় লিপ্ত হওয়া মুমিনের জন্য সমীচীন নয়।

আমরা অনেকেই নিজেদের সামান্য স্বার্থে অন্যকে গালি দিয়ে বসি। যা মারাত্মক অপরাধ। নিজের মতের সঙ্গে কারো অমিল হলেই তাকে বিভিন্ন অপবাদ চাপিয়ে দিয়ে তার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করি। মানুষের বিরুদ্ধে অনলাইনে-অফলাইনে ষড়যন্ত্র চালানোর পরিণাম ভয়াবহ। পবিত্র কোরআনে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর যারা মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয়, যা তারা করেনি তার জন্য; নিশ্চয়ই তারা অপবাদ ও স্পষ্ট পাপের বোঝা বহন করল।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৮)

রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মুসলমানকে গালি দেওয়া পাপ ও অন্যায়মূলক কাজ এবং তাকে মেরে ফেলা বা তার বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করা কুফরি কাজ। (তিরমিজি, হাদিস : ১৯৮৩)অতএব আমাদের উচিত এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা। মানুষকে অপবাদ দেওয়া, মতের অমিল হলেই গালি দেওয়া কোনো মুমিনের কাজ হতে পারে না। প্রত্যেকের উচিত, এ ধরনের জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকা।