আত্মঘাতী গোলে ফ্রান্সের কাছে হারল জার্মানি

আত্মঘাতী গোলে ফ্রান্সের কাছে হারল জার্মানি

আত্মঘাতী গোলে ফ্রান্সের কাছে হারল জার্মানি-

টানটান উত্তেজনা। সেয়ানে সেয়ানে লড়াই। দুই কোচের মগজাস্ত্রের লড়াই। চলতি ইউরোর প্রথম ‘বড় ম্যাচ’ থেকে যা যা প্রত্যাশিত ছিল, সবটাই উপহার পেলেন ফুটবলপ্রেমীরা। ফ্রান্স বনাম জার্মানি। এবারের ইউরোর প্রথম হেভিওয়েট লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসল ফ্রান্স। সৌজন্যে হুমেলসের বিশ্রী আত্মঘাতী গোল।

দুটি দল শেষ দুবারের বিশ্বকাপজয়ী। একদল জিতছে বছর সাতেক আগে। আর আরেক দলের বিশ্বজয় করা মেরেকেটে বছর দুই হল। ভাবিকভাবেই জার্মানি বনাম ফ্রান্সের লড়াই যে টানটান হবে, সমানে সমানে হবে, সেটাই প্রত্যাশিত ছিল। হলও তাই। ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ না করে দুটি দলই গতিশীল চোখধাঁধানো ফুটবল উপহার দিল। মিউনিখে এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে রেখে আক্রমণ তৈরির পথে হেঁটেছিল জার্মানরা। অন্যদিক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়ছিল কাউন্টার অ্যাটাকে। গ্রিজম্যান, এমবাপে এবং বেঞ্জেমার গতির সঙ্গে কন্তের শিল্ডিং এবং পোগবার অনবদ্য পাসিংয়ের সুবাদে শুরু থেকে জার্মানিকেই বেশি বিপজ্জনক মনে হচ্ছিল। এমবাপে, পোগবাদের গতি সামলাতে শুরুর দিকে বেশ চাপেই পড়তে হচ্ছিল জার্মানদের। ম্যাচের সময় তখন মিনিট ২০। এমনই এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে কাঙ্ক্ষিত গোলটি পেয়ে যায় ফ্রান্স। ডান প্রান্ত থেকে আসা অনবদ্য ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের নেটেই বল জড়িয়ে দেন জার্মানির অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার হুমেলস।

এরপরও প্রথমার্ধে এমবাপের গতি সামাল দিতে বিপদে পড়তে হয়েছে জার্মানির রক্ষণকে। তবে, বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোল করতে পারেননি এমবাপে, বেঞ্জেমারা। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের গতি পুরোপুরি বদলে যায়। এবারে আগের থেকে অনেক সুগঠিত মনে হচ্ছিল জোয়াকিম লো’র ছেলেদের। অনেক সংগঠিতভাবে আক্রমণ শানাচ্ছিলেন জার্মানরা। মুলার থেকে গন্যাব্রি হাফ চান্স পেয়েছিলেন অনেকেই। তবে, ফাইনাল থার্ডে ভাল পাস, কিংবা বিশ্বমানের শট কোনওটাই আসেনি। যার ফলে গোল করে উঠতে পারেনি জার্মানি। উল্টো ৮৫ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে আরও একবার জার্মানির নেটে বল জড়িয়ে দেন বেঞ্জেমা। কিন্তু পরে VAR ফ্রান্সের সেই গোল বাতিল করে এমবাপেকে অফসাইড ঘোষণা করেন।  যার ফলে ম্যাচ শেষ হয় ১-০ গোলেই। আসলে জার্মানি এবং ফ্রান্স দুই দলই এবারের টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভরিট দল। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এটিই ছিল চলতি ইউরোর প্রথম ক্ল্যাশ অফ দ্য টাইটানস। আর সেই সেরাদের লড়াইয়ে অল্পের জন্য শেষ হাসি হাসল ফ্রান্স। -সংবাদ প্রতিদিন