পুতিনের সাথে কোনো বৈঠক নয় : ইইউ

পুতিনের সাথে কোনো বৈঠক নয় : ইইউ

পুতিনের সাথে কোনো বৈঠক নয় : ইইউ-

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কোনো ধরনের বৈঠকে রাজি নয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। রাশিয়ার সাথে বৈঠকের প্রস্তাব দিয়েছিলেন জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তা বাতিল করে দিয়েছে ইইউ। একইসাথে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে ইইউ।

আন্তর্জাতিক একাধিক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বৈঠকের পর দু’দেশই জানিয়েছিল, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। বহু বিষয়ে মতান্তর থাকলেও আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা হয়েছে দুই নেতার মধ্যে। জেনেভায় ওই বৈঠকের পরেই পুতিনের সাথে আলোচনায় বসতে আগ্রহ প্রকাশ করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট অ্যামানুয়েল মাক্রোঁ ও জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। এই প্রস্তাব ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে পাঠিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ২৭ দেশের গ্রুপটি বৈঠকে রাজি হয়নি।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকাংশ দেশের বক্তব্য, রাশিয়া যেভাবে রাজনীতি করছে, তাতে এখন রাশিয়াকে আলোচনায় ডাকলে ভুল বার্তা দেয়া হবে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কড়া পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছে বেশ কিছু দেশ। এর ফলে ইইউ থেকে নতুন করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, তাতে ইইউর পররাষ্ট্র সম্পর্কের প্রধান জোসেফ বরেলকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করতে বলা হয়েছে।

বৈঠকে ম্যার্কেল বলেছিলেন, আলোচনাই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। বিতর্ক না বাড়িয়ে রাশিয়ার সাথে বৈঠকে বসা হোক। মাক্রোঁর বক্তব্য ছিল, ইউরোপ মহাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য রাশিয়ার সাথে বিবাদ মিটিয়ে আলোচনায় বসা জরুরি। কিন্তু বেশিরভাগ ইইউ রাষ্ট্র তা মানতে চায়নি।

২০১৪ সালে রাশিয়ার সাথে শেষবার আলোচনায় বসেছিল ইইউ। এরপর রাশিয়ার ক্রিমিয়া আক্রমণ নিয়ে পুতিনের সাথে ইইউর দূরত্ব তৈরি হয়। লাটভিয়ার প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, ক্রেমলিন শুধুমাত্র ক্ষমতার রাজনীতি বোঝে। সুতরাং তাদের সাথে আলোচনায় বসার অর্থ হয় না। বৈঠক করা মানে, ভুল বার্তা দেয়া। লিথুয়ানিয়াও একই কথা বলেছে বৈঠকে।

গত এক বছরে রাশিয়ার সাথে ইইউর দূরত্ব আরো বেড়েছে। বিশেষত রাশিয়ার রাজনীতিক নাভালনিকে যেভাবে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল ও পরে যেভাবে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়ে ইইউর সাথে রাশিয়ার তীব্র বিতর্ক হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে। নতুন বৈঠকের পর আরো কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। -ডয়েচে ভেলে