মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের নিন্দা-কুবি শিক্ষক সমিতির

মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের নিন্দা-কুবি শিক্ষক সমিতির

মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশের নিন্দা-কুবি শিক্ষক সমিতির-

গণমাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে জাতির কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি বিনষ্টের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। 

বুধবার (৩০ জুন) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মুহাম্মদ: শামিমুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক ড. কাজী মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। 

বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নেতারা বলেন- গত বুধবার ৭১ টিভিতে প্রচারিত 'একাত্তর জার্নাল' অনুষ্ঠানে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুটিকয়েক শিক্ষক সুপরিকল্পিতভাবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নেতিবাচক তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করেছে। তারা নিয়মতান্ত্রিক প্রশাসনিক সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে অনিয়মকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আংশিক তথ্য উপস্থাপন করে দেশের সাধারণ জনসাধারণের নিকট কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ সম্পর্কে নানাবিধ বিভ্রান্তিমূলক তথ্য উপস্থাপন করেছেন। 

এসময় তারা আরও বলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া উপাচার্যের অর্জনগুলোকে ঢাকবার জন্য মিথ্যা ও অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দু'জন শিক্ষক উপাচার্য ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে জনসমক্ষে হেনস্তা করেছেন। এছাড়াও তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে নিয়েও মিথ্যাচার করে এবং তার সুষ্ঠুভাবে চলমান দায়িত্ব ও কর্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিকে প্রশ্নবিদ্ব করে। 

একাত্তর টেলিভিশনের অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার গোপনীয় তথ্য ফাঁস করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কর্তৃক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষকের অবৈধ প্রমোশন বাতিল করায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে নিয়োগ পরীক্ষায় ফেল করা পরীক্ষার্থীকে নিয়োগের বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপনসহ আরও নানাবিধ ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য দেশের গণমাধ্যমে প্রচার করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অপপ্রচার করে অনিয়মের প্রতি নিজেদের অবস্থানকে তারা প্রতিষ্ঠিত করছে। উপাচার্য মহোদয়ের গতিশীল নেতৃত্বে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সহযোগিতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ১৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার উন্নয়ন প্রকল্প লাভ করেছে। শুধু তাই নয় উক্ত প্রকল্পের কাজের গুণগত মান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্নের জন্য বাংলাদেশের উন্নয়নের গর্বিত অংশীদার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মাধ্যমে সম্পন্নের অনুমোদন লাভ করে। বর্তমানে প্রকল্পের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পের কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরীর জন্য একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। প্রতিটি উপাচার্যের মেয়াদের শেষ সময়ে যা তারা করে থাকে। যে মুহূর্তে দেশের নবীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণাসহ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডগুলোকে এগিয়ে নেবার নানা ইতিবাচক উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছে এবং যে সময়টিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারণকার্য দ্রুততার সাথে চলমান ঠিক সেই সময়টিতে গুটিকয়েক শিক্ষকের এ ধরনের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কর্মকাকে বাধাগ্রস্ত করার একটি হীন প্রচেষ্টা বলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে 

আমরা এ ধরনের অপপ্রচার ও অপপ্রয়াসের বিষয়ে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। একইসাথে দেশের ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়াসমূহকে এ বিষয়ে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সংগ্রহ করে প্রচারের অনুরোধ করা যাচ্ছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানসম্মানকে জাতির সামনে ভুলুণ্ঠিত করার জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উচ্চশিক্ষকগণের বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছি।