জাপানে ভূমিধসে ২০ জন নিখোঁজ, কাদার তোড়ে যেভাবে ভেসে গেল বাড়ি-ঘর

জাপানে ভূমিধসে ২০ জন নিখোঁজ, কাদার তোড়ে যেভাবে ভেসে গেল বাড়ি-ঘর

জাপানে ভূমিধসে ২০ জন নিখোঁজ, কাদার তোড়ে যেভাবে ভেসে গেল বাড়ি-ঘর

জাপানে ভারী বৃষ্টির পর এক বিরাট ভূমিধসে আতামি শহরে অন্তত বিশ জন মানুষের কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পাহাড়ের ওপর থেকে প্রচন্ড বেগে নেমে আসা কালো কাদা মাটির ঢল নেমে সমুদ্রের দিকে বয়ে চলেছে। কাদার তোড়ে কয়েকটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধসে গেছে এবং মাটির নীচে চাপা পড়েছে।

জাপানো কিয়োডো বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে, এই ঘটনায় মারা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে এমন দুজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে বন্দর এলাকায়।একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি এক ভয়ংকর শব্দ শুনে দৌড়ে উঁচু এলাকার দিকে পালিয়ে যান।প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিডে সুগা এই ঘটনার মোকাবেলার জন্য একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছেন।

জাপানের আতামি শহর উষ্ণ জলের ঝর্ণার জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। এটির অবস্থান জাপানের শিযুকা অঞ্চলে। এই শহরটিতে জুলাই মাসের প্রথম তিন দিনেই প্রায় এক মাসের সমান বৃষ্টি হয়েছে।

এই ঘটনার বিবরণ দিয়ে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জাপানের এনএইচকে টেলিভিশনকে বলেন, "আমি একটি ভয়ংকর শব্দ শুনতে পেলাম, তারপরই দেখলাম কাদার স্রোত নীচের দিকে নেমে আসছে। উদ্ধার কর্মীরা লোকজনকে সেখান থেকে সরে যেতে বলছিল। আমি দ্রুত উঁচু জায়গার দিকে চলে যাই।"স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে দশটায় এই ভূমিধস শুরু হয়। জাপানের পুলিশ, দমকল বাহিনী এবং সামরিক বাহিনী এখন ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজে অংশ নিচ্ছে।

জাপানের কর্তৃপক্ষ শিযুকা, কানাগাওয়া এবং চিবা- এই তিনটি অঞ্চলের কিছু অংশের বাসিন্দাদের বন্যার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছেন।বৃষ্টির মৌসুমে জাপানে ভূমিধস এবং বন্যার ঝুঁকি থাকে। গত বছর জুলাই মাসের বন্যায় বেশ কিছু মানুষ মারা যায়। এর আগে ২০১৮ সালে জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে বন্যায় মারা যায় প্রায় ২শ মানুষ।

সূত্র : বিবিসি