সুসন্তান মা-বাবার জন্য সদকায়ে জারিয়া

সুসন্তান মা-বাবার জন্য সদকায়ে জারিয়া

সুসন্তান মা-বাবার জন্য সদকায়ে জারিয়া

সুসন্তান মা-বাবার জন্য সদকায়ে জারিয়া। বহু নেককার মানুষ আছে, যাদের মৃত্যুর পর আমলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যে মা-বাবা নেককার-পরহেজগার সন্তান রেখে কবরে যান, মৃত্যুর পর তাঁর নেকি অর্জনের পথ বন্ধ হয় না। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়, তিনটি আমল ছাড়া, সদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান, যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় এবং নেক সন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৬৩১)

অন্য হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘মৃত্যুর পর কবরে থাকা অবস্থায় বান্দার সাতটি আমলের প্রতিদান অব্যাহত থাকে, (১) যে ব্যক্তি ইলম শিক্ষা দেবে অথবা (২) নদী খননের ব্যবস্থা করবে অথবা (৩) কূপ খনন করবে অথবা (৪) কোনো খেজুরগাছ রোপণ করবে অথবা (৫) মসজিদ নির্মাণ করবে অথবা (৬) কোরআন (তিলাওয়াতের জন্য অথবা এর আহকাম জীবনে বাস্তবায়নের জন্য) কাউকে দান করবে, অথবা (৭) এমন কোনো সন্তান রেখে যাবে, যে মৃত্যুর পর তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে।’ (মুসনাদে বাজজার, হাদিস : ৭২৮৯; সহিহুত তারগিব, হাদিস : ৭৩)

মা-বাবা একজন নেক সন্তানের আন্তরিক ও একনিষ্ঠ দোয়ার মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হতে পারেন। তাঁরা নেক সন্তানের মাধ্যমে সমাজের বুকে যেমন সম্মানিত হন, তেমনি আখিরাতেও তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ জান্নাতে নেককার বান্দার মর্যাদা সমুন্নত করবেন, তখন সে বলবে, হে আমার রব, কেন আমার জন্য এই উচ্চ মর্যাদা? তখন আল্লাহ বলবেন, তোমার জন্য তোমার সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনা করার কারণে।’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদিস : ১০৬১০)

অর্থাৎ মা-বাবার জন্য নেক সন্তানের ক্ষমা প্রার্থনার কারণে মহান আল্লাহ তাঁদের জান্নাতের উচ্চাসন দান করবেন। সুতরাং সন্তানকে সুসন্তান হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা জরুরি। সুসন্তান ইহকাল ও পরকালের পাথেয়।