প্রথম ডিভোর্সের সময় ভেঙে পড়েছিলেন আমির, কীভাবে বন্ধুকে সামলেছিলেন সালমান?

প্রথম ডিভোর্সের সময় ভেঙে পড়েছিলেন আমির, কীভাবে বন্ধুকে সামলেছিলেন সালমান?

প্রথম ডিভোর্সের সময় ভেঙে পড়েছিলেন আমির, কীভাবে বন্ধুকে সামলেছিলেন সালমান?

সম্পর্ক ভাঙা মোটেও সহজ কাজ নয়। বিশেষ করে আমির খানের ক্ষেত্রে। কিন্তু দুই বিয়ের ক্ষেত্রেই এই পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাঁকে। প্রথম স্ত্রী রিনা দত্তর সঙ্গে ১৬ বছরের বিবাহিত জীবন ছিল আমিরের। দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণ রাওয়ের (Kiran Rao) সঙ্গে ১৫ বছরের সম্পর্ক। রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের সময়ই ভেঙে পড়েছিলেন আমির। আর সেই সময় তাঁকে অবসাদের হাত থেকে বাঁচিয়েছিলেন সলমন খান। করণ জোহরের ‘কফি উইথ করণ’ চ্যাট শোয়ে গিয়ে আমির নিজেই জানিয়েছিলেন সেকথা।

রিনাকে বিয়ে করার সময় আমিরের বয়স ছিল মাত্র ২১। তারপর ১৬ বছর একসঙ্গে কাটিয়েছেন দু’জনে। ২০০২ সালে যখন ডিভোর্স হয় দুই সন্তান জুনেইদ ও ইরার কাস্টডি রিনা নিজের কাছে রেখেছিলেন। ‘কফি উইথ করণ’ শোয়ে গিয়ে আমির জানিয়েছিলেন সেই সময় তাঁকে ভীষণভাবে সাহায্য করেছিলেন সলমন খান। আমির জানান ‘আন্দাজ আপনা আপনা’  শুটিংয়ের পর তাঁর মনে হয়েছিল সলমন অত্যন্ত খারাপ মানুষ। তাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইতেন না। কিন্তু রিনার সঙ্গে ডিভোর্সের পর তিনি যখন ভেঙে পড়েছিলেন, অবসাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন, তখন সলমন খান ত্রাতা হয়েছিলেন।

কী করেছিলেন বলিউডের সুলতান? নিজে থেকেই আমিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। ফোন করে আমিরের সঙ্গে দেখা করতেন। একসঙ্গে সময় কাটাতেন। গল্প, আড্ডার মাধ্যমে আমিরকে সহজ করে তুলেছিলেন তিনি। সেই বন্ধুত্ব আজও আটুট। আজও প্রায় একই পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন আমির। রিনার সঙ্গে যখন তাঁর বিচ্ছেদ হয়েছিল, তখন তার কারণ হিসেবে কিরণের নাম শোনা গিয়েছিল। এবার কিরণ ও আমির যখন ডিভোর্সের কথা ঘোষণা করেছেন, তখন তার কারণ হিসেবে ফতিমা সানা শেখের সঙ্গে অভিনেতার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। আর তা নিয়ে বিস্তর ব্যঙ্গ-বিদ্রুপও হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সমালোচকদের আবার একহাত নিয়েছেন পরিচালক রামগোপাল বর্মা । আমির-কিরণকে ‘রঙ্গিলা লাইফ’ও উইশ করেছেন পরিচালক।

সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন