সংসদ ভেঙে দেয়া উচিত ছিলো

সংসদ ভেঙে দেয়া উচিত ছিলো

ফাইল ছবি

  ক্ষমতাসীন জোটের অন্যতম শরীক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের পরপরই সংসদ ভেঙে দেয়া উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত আইনজীবী সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

 মওদুদ বলেন, মেনন একটা সত্য কথা বলেছেন। দেরি হলেও বলেছেন। অনেক দেরি করে, পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে, আরাম-আয়েশে থেকে তারপর তিনি সত্য কথা বলেছেন। সে জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ, তিনি যা বলেছেন, সেটা আমরা বলে আসছি। ২৯শে ডিসেম্বর রাতে সিভিলিয়ান ক্যু করে সরকার ক্ষমতা দখল করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এই সরকারের কোনো নৈতিক বা সাংবিধানিক অধিকার নেই রাষ্ট্র পরিচালনা করার। সুতরাং মেননের এই বক্তব্যের পরে সরকারের উচিত ছিলো অবিলম্বে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

বিএনপির এই নীতি নির্ধারক বলেন, কারণ, আমরা জানি- একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে, সুশাসন ফিরে আসবে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ফিরে আসবে এবং প্রশাসন একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। পুলিশ এবং র‌্যাব যাদেরকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহার করা হচ্ছে, তাদেরকে আবার আইনশৃঙ্খলা কাজে ব্যবহার করা যাবে।

আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। তার মুক্তির জন্য কারও কাছে দেন-দরবার করার দরকার হবে না।

মওদুদ বলেন, আদালত বেগম জিয়ার জামিন দেবে না। কারণ, সরকার চায় না বলেই তার জামিন হচ্ছে না। তার জামিন আইনের মাধ্যমে সম্ভব হবে বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না। কারণ, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে আজ ১ বছর ৮ মাস তার জামিন হয় না। তার মুক্তির একমাত্র পথ হল রাজপথ। যদি আমরা আন্দোলন করি, সেই আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে পারবো, দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারবো।

২০১৯ সাল সরকারের জন্য ব্যাড লাক মন্তব্য করে মওদুদ বলেন, জনগণকে ফাঁকি দিয়ে রাতের বেলায় ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসছে। বিচার বলে তো একটা জিনিস আছে। ২০১৯ সালটা শুরু হয়েছে নুসরাত হত্যাকাণ্ড দিয়ে। তারপর ছাত্রলীগের সেই টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি। যুবলীগের খালেদ, শামিম, স¤্রাট। এ রকম কত স¤্রাট, কত শামীম, কত খালেদ যে যুবলীগে এখনো আছে, সেটা আমরা আন্দাজ করতে পারি।

তিনি বলেন, তাই যতই বলেন না কেন, দুর্নীতিবাজদের বিচার করবেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান করবেন- ঠু লেইট। টেন ইয়ার্স ঠু লেইট। কারণ, দশ বছর আপনারা কিছু করেন নাই। এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছেন, শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন। এতে করে কোনো লাভ হবে না। আপনারা দুর্নীতি দূর করতে পারবেন না।

গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়া মুক্তি আইনজীবী আন্দোলনের চেয়ারম্যান এডভোকেট  তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বার আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট ফজলুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন,  সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান এডভোকেট আবদুর রকিব, বিএনপির নির্বাহী সদস্য এডভোকেট আবেদ রাজা প্রমুখ।