পশ্চিমবঙ্গে মমতার আসনে উপনির্বাচন বৃহস্পতিবার

পশ্চিমবঙ্গে মমতার আসনে উপনির্বাচন বৃহস্পতিবার

পশ্চিমবঙ্গে মমতার আসনে উপনির্বাচন বৃহস্পতিবার

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ভবানীপুর আসনে উপনির্বাচন কাল বৃহস্পতিবার। এই আসন থেকে উপনির্বাচনে লড়বেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। আর তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ভবানীপুর বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেই নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলে বিজেপি। ভবানীপুরে উপনির্বাচন না হলে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে, এই মর্মে সুপারিশ করে কমিশনকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যসচিব। ভোট বিজ্ঞপ্তিতে কমিশনও সেই কথা উল্লেখ করে। যা নিয়ে তৈরি হয় বিতর্ক। এর পরিপ্রেক্ষিতে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। এই মামলায় কমিশনের কাছে জবাবি হলফনামা চেয়েছিল আদালত। কমিশন হলফনামা জমা দেয়। কিন্তু আদালত জানিয়ে দেন, কমিশনের উত্তরে সন্তুষ্ট নয় তারা।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ভবানীপুরে নির্দিষ্ট দিনেই ভোট হবে। তবে নির্বাচন কমিশনকে জরিমানা নিয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ১৭ নভেম্বর। মামলাকারীদের আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় বলেন, আদালত পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যসচিব এক জন সরকারি কর্মকর্তা। তাই তিনি কোনো একজনের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেন না। নির্বাচনের আবেদন জানিয়ে কমিশনে যে চিঠি দিয়েছিলেন, তাতে তিনি নিজের অধিকারের সীমা লঙ্ঘন করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে যান মমতা ব্যানার্জি। সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী তাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে ছয় মাসের মধ্যে কোনো আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে। ২০১১ ও ২০১৬ সালেও ভবানীপুর আসন থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন মমতা। সর্বশেষ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের শোভনদেব চৌধুরী এই আসনে জয়ী হন। মমতা যাতে এই আসন থেকে উপনির্বাচন করতে পারেন সেজন্য বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেন শোভনদেব। আসনটি শূন্য হওয়ার পর সেখানে উপনির্বাচন হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৪ আসনের মধ্যে তৃণণূল কংগ্রেস ২১৩ আসনে জয়ী হলেও মমতা ব্যানার্জি নন্দীগ্রাম আসনে শুভেন্দু অধিকারির কাছে হেরে যান। দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি তৃতীয়বারের জন্য পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হলেও ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচনে জেতার বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়। মমতা ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন। সেই হিসেবে ৫ নভেম্বরের মধ্যে তাকে উপনির্বাচনে জিতে আসতে হবে। সূত্র : আনন্দবাজার