জার্মানিতে মসজিদে মাইকে আযান প্রচারের অনুমতি

জার্মানিতে মসজিদে মাইকে আযান প্রচারের অনুমতি

জার্মানিতে মসজিদে মাইকে আযান প্রচারের অনুমতি

প্রতি শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের আযান মসজিদের মাইকে প্রচারের অনুমতি দিয়েছে জার্মানির কোলন শহর কর্তৃপক্ষ৷ এক্ষেত্রে অবশ্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মানতে হবে৷

 জার্মানিতে আযান সাধারণত মাইকে প্রচার করা যায় না৷ এক্ষেত্রে কোলন এক ব্যতিক্রম হতে চলেছে৷ শহরের মেয়র জানিয়েছেন যে মুসলমানদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের নিদর্শন হিসেবে শহরটির মসজিদে প্রতি শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের আযান মাইকে প্রচারের অনুমতি দেয়া হয়েছে৷ আপাতত দুই বছরের জন্য এই অনুমতি দেয়া হয়েছে, তবে তা নবায়নযোগ্য৷

বহুসংস্কৃতির শহর কোলনে জার্মানির সবচেয়ে বড় মসজিদটির অবস্থান৷ স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শহরটির কেন্দ্রীয় এই মসজিদসহ সবমিলিয়ে ৩৫টি মসজিদে শুক্রবার দুপুর থেকে বিকেল তিনটার মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিট মাইকে আযান প্রচার করা যাবে৷

কোলনে বসবাসরত মুসলিমদের সঙ্গে শহর কর্তৃপক্ষের এক আলোচনার ভিত্তিতে আযানের সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে৷ মুয়াজ্জিন আযান দেয়ার সময় লাইড স্পিকারে শব্দের একটি নির্দিষ্ট মাত্রা অনুসরণ করতে হবে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আগে থেকে বিষয়টি জানাতে হবে৷

কোলনের কেন্দ্রীয় মসজিদ নিয়ে মাঝেমাঝেই মুসলিমবিরোধী চেতনা সৃষ্টির চেষ্টা করে উগ্র ডানপন্থি দলগুলো৷ জার্মানিতে তুর্কি সরকারের ধর্ম বিষয়ক কর্তৃপক্ষ ডিটিবের আংশিক আর্থিক সহায়তায় মসজিদটি তৈরির সময় থেকেই এটি নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে৷ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান নিজেই মসজিদটি উদ্বোধন করেছিলেন৷

আযানের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্ত দিলেন মেয়র

যদিও কোলনের মুসলমানেরা আযানের অনুমতি দেয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে, তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের সমালোচনাও হচ্ছে৷ শহরের মেয়র হেনরিয়াটে রেকার এই বিষয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন৷টুইটারে সপ্তাহান্তে তিনি লিখেছেন, ‘‘আযান প্রকল্প নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে৷ কোলন ধর্মীয় স্বাধীনতার শহর৷''  

রেকার লিখেছেন, ‘‘কোলনের মূল ট্রেন স্টেশনে আসলে শুরুতেই ক্যাথিড্রাল চোখে পড়ে এবং এরপর গির্জার ঘণ্টার শব্দ শোনা যায়৷ কোলন শহরের অনেক বাসিন্দা মুসলমান৷ আমার কাছে আযানের বিষয়টি সম্মান প্রদর্শনের বহিঃপ্রকাশ৷''জার্মানিতে ৪৫ লাখের মতো মুসলমান বসবাস করেন৷ ইউরোপের খ্রিস্টান প্রধান এই দেশটির সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় এটি৷

সূত্র : ডয়েচে ভেলে