তিরোধান দিবসে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে এবারও থাকছে না কোন আয়োজন

তিরোধান দিবসে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে এবারও থাকছে না কোন আয়োজন

তিরোধান দিবসে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে এবারও থাকছে না কোন আয়োজন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: আজ ১৭ অক্টোবর ১লা কার্ত্তিক রোববার বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩১তম তিরোধান দিবস। দিবসটি উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে এবারও কোন আয়োজন না থাকায় লালন ভক্ত, অনুসারী ও সাধুদের মাঝে বিরাজ করছে বিরহ বেদনা। মানব ধর্মে বিশ^াসীদের তীর্থ ভূমি লালন আখড়াবাড়ির সাঁইজির মাজার দর্শন ও আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মুক্তির পথ খুঁজতে আসা ভক্তবৃন্দ মনে কষ্ট ও ব্যাথা নিয়ে এবারের তিরোধান দিবসেও সাঁইজিকে স্মরণ করবে নিজ নিজ ধামে।  

‘আর কি আমার সাধু দরশন হবে’ সত্যিই সাধুর বাজারে এবারও সাধু দরশন সঙ্গ হচ্ছে না লালন ভক্ত অনুসারীদের । করোনার কারনে এবছরও হচ্ছে না লালন সাঁইজির তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠান। তাই আখড়াবাড়ির আঙিনায় বসবে না সাধুদের হাট, ঘটবে না ভাবের ভাব বিনিময়। সাধু-গুরু দরশনের মহামিলন না ঘটায় সাধুদের অন্তরে ব্যাথা বেড়েছে কিন্ত মানব কল্যানের স্বার্থে বিরহ ব্যাথা নিয়ে সাঁইজিকে স্মরণ করবে নিজ আঙিনায় নিজস্ব রীতিতে করবেন বলে জানান লালন ভক্ত-অনুসারীরা।

এদিকে সাইজি’র আখড়াবাড়িতে তাঁর তিরোধান দিবসে সাইজিঁর চরণধুলি নিতে না পারার যাতনা বেড়েছে সাধু ও লালনভক্তদের মাঝে। তাদের দাবি অন্তত: তিরোধান দিবসের দিন মাজার প্রাঙ্গনে সাঁইজিকে স্মরণ করার সুযোগ দেওয়া হোক তাদের।

মহামারীর কারণে পহেলা কার্তিক কুষ্টিয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন সাঁই এর ১৩১তম তিরোধান দিবসের অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। গত সোমাবার দুপুরে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক সাইদুল ইসলাম। জেলা প্রশাসক জানান করোনাভাইরাস এ পর্যন্ত জেলায় ৭৭২ জন মানুষ মারা গেছে। বর্তমানে বেশ কিছু মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত ৭ অক্টোবর লালন একাডেমির কার্যকরী কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে লালন তিরোধান দিবসের এবারের অনুষ্ঠান না করার সিদ্ধান্ত  গৃহীত।