১২৫ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ

১২৫ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ

১২৫ রানের টার্গেট দিলো বাংলাদেশ

টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বুধবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শেষের দিকে নাসুম ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১২৪ রান সংগ্রহ করেছে টাইগাররা। ইংল্যান্ডের সামনে এমন টার্গেট সহজ না কঠিন, তা বলে দেবে বাংলাদেশের বোলিং কেমন হয়।

আবুধাবিতে আগে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশ। শুরু থেকেই ইংলিশদের বোলিং তোপে ধুঁকতে থাকে মাহমুদউল্লাহ শিবির। শুরুটা হয় লিটন দাসকে দিয়েই। একাদশে টিকে গেলেও উইকেটে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি।
অথচ শুরুটা লিটনের ছিল দারুণ আশা জাগানিয়া। ম্যাচের প্রথম ওভারে মইন আলিকে টানা দুটি চার মারেন ডাউন দা উইকেটে খেলে। শরীরী ভাষা তার মনে হচ্ছিল দারুণ ইতিবাচক। কিন্তু ব্যাটিংয়ে সেটির প্রতিফলন ফেলতে পারলেন না। তৃতীয় ওভারে মইনকে একটু শাফল করে সুইপ খেলার চেষ্টা করেন। বল তার ব্যাটের ওপরের দিকে লিগে সহজ ক্যাচ স্কয়ার লেগে মুঠোয় জমান লিয়াম লিভিংস্টোন। লিটনের দুঃসময় দীর্ঘায়িত হলো আরও। ৯ বলে ৮ রানে আউট হন তিনি।

লিটনের আউটের পরের বলেই আউট আগের ম্যাচে ফিফটি করা মোহাম্মদ নাঈম। মঈনের বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে চেয়েছিলেন তিনি। টাইমিং হয়নি। মিড অনে সহজ ক্যাচ নেন ক্রিস ওকস। নাঈম আউট ৭ বলে ৫ রানে। দলীয় ১৪ রানে দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
আশা ছিল সাকিব-মুশফিক জুটিতে। তবে এবার সাকিব হাটলেন উল্টো পথে। পারলেন না থিতু হতে। ব্যক্তিগত ৪ রানে তিনি ওকসের শিকার। বল খেলেছেন সাতটি। পাওয়ার প্লের শেষ ওভাওে লেগ স্টাম্পে থাকা লেংথ বল একটু দেরিতে পুলের মতো খেলে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু দুর্দান্ত ক্যাচ নেন রশিদ।

পাওয়ার প্লেতে বাউন্ডারি তিনটি, উইকেটও তিনটি। সব মিলিয়ে হতাশার পাওয়ার প্লে বাংলাদেশের জন্য। ৬ ওভারের রান ৩ উইকেটে ২৭। তারপরও মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটি শুরুর হতাশা কিছুটা দূর করেন। ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হয়ে যাচ্ছিলেন মুশফিক। চোখধাঁধানো আরেকটি ক্যাচ প্রায় হয়েই যাচ্ছিল। তবে অল্পের পর জন্য রক্ষা পান তিনি।

জীবন পেয়ে মুশফিক ভালোই আগাচ্ছিলেন। মন্থর উইকেটে জুটি ভাঙতে অনিয়মিত স্পিনার লিয়াম লিভিংস্টোনকে আক্রমণে আনেন ওয়েন মর্গান। সাফল্য মেলে প্রথম ওভারেই। লেগস্পিনার লিভিংস্টোনকে রিভার্স সুইপ খেলার চেষ্টায় আউট হন মুশফিকুর রহিম। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল ইংল্যান্ড। বল লাগছিল মিড স্টাম্পে। ৩০ বলে ২৯ রান মুশফিকের। ভাঙে ৩২ বলে ৩৭ রানের জুটি।

টিকতে পারেননি আফিফও। আগের ম্যাচের মতোই এবারও তিনি রান আউট। ৬ বলে এক চারে ৫ রান সম্বল তার। ১২.৪ ওভারে বাংলাদেশের রান তখন ৭৩। রান বাড়ানোর চেষ্টায় তখন বাকি ব্যাটসম্যানরা। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ থিতু হতে হতেই নেন বিদায়। টেস্ট মেজাজে খেলেন ২৪ বলে ১৯ রান, বাউন্ডার একটি। লিভিংস্টোনের বলে ক্যাচ দেন ওকসের হাতে। বাংলাদেশের দলীয় রান তখন ৮৩।

অধিনায়কের বিদায়ের পর ক্রিজে ছিলেন নুরুল হাসান ও মেহেদী হাসান। দুজনের হাতেই মার ছিল। কিন্তু শেষের দিকে যেভাবে রান দরকার ছিল। আসেনি তা। মিলসের বলে ওকসের হাতে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান। ১০ বলে দুই চারে তিনি করেন ১১ রান। ১৮ ওভারে বাংলাদেশের রান সাত উইকেটে ১০২ রান।

১৯তম ওভার শেষে রান গিয়ে দাড়ায় ১১৯। আর সেটা স্পিনার নাসুমের ব্যাটিং ঝলকের কারণে। ১৯তম ওভারে আদিল রশিদকে দুই ছক্কা ও একটি চার হাকান তিনি। এই ওভারে আসে সব মিলিয়ে ১৭ রান। শেষ ওভারে নাসুম স্ট্রাইক পান একটি বলে। ওয়াইডসহ আসে দুটি রান। নুরুল হাসান কাজে লাগাতে পারেননি কয়েকটি বল। মিলসের পঞ্চম বলে তিনি হন আউট, ১৮ বলে ১৬ রান করেন তিনি। শেষ বল খেলতে এসে বোল্ড হন মুস্তাফিজুর রহমান।

বল হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে তিন উইকেট নেন টাইমাল মিলস। মঈন আলী ও লিভিংস্টোন দুটি, ক্রিস ওকস একটি উইকেট লাভ করেন।

বাংলাদেশ একাদশ : মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ।